ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির এক হাজার ৬৫১ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা। শুক্রবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় ফেনী মডেল থানায় সদরের ধর্মপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন এই মামলা করেন।
মঙ্গলবার বিকালে ফেনী শহরে বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হওয়া সংঘর্ষে জেলায় এটি তৃতীয় মামলা। আগের দুই মামলার বাদী পুলিশ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার বিকালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা নিয়ে তারা শহরের ট্রাংক রোডের প্রেসক্লাবের দক্ষিণ পাশে খাজা আহমদ সড়কের মাথায় (বাঁশপাড়ার মোড়) পৌঁছান। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করেন এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। তাকে (বাদী) কুপিয়ে জখম করা হয়। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পুলিশ ও বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, এর আগের দুই মামলার মতো এ মামলায়ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব নবী, যুবদলের জাকির হোসেন, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, ছাত্রদলের সালাউদ্দিন মামুন, মোরশেদ আলমসহ বিএনপির সব অঙ্গসংগঠনের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) সফিকুর রহমান জানান, এ মামলায় আজ শনিবার পর্যন্ত পুলিশ কেউ গ্রেফতার হয়নি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালের নেতৃত্বে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী শহরের ট্রাংক রোড়ের দাউদপুর ব্রিজ সংলগ্ন স্থান থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রাটি শহরের জিরো পয়েন্টে এলে পুলিশ শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের দিকে ঘুরিয়ে দেয়।
পরে পদযাত্রাটি ওই সড়কের ইসলামপুর রোড়ের মাথায় পৌঁছলে পুলিশের আরেকটি দল জেলা বিএনপির কার্যালয়ের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষের সময় ইটপাটকেল ও গুলির বিকট শব্দে পুরো শহর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। সংঘর্ষে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। এই ঘটনায় পুলিশের করা দুই মামলায় বিএনপির ২০৮৮ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।।