সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চট্টগ্রামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় দুজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ১৫ জনসহ আহত হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী।
নিহতরা হলেন মো. ফারুক (৩২) ও মো. ওয়াসিম (২২)। ফারুক স্থানীয় একটি ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী। ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ। তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন পথচারী, অপরজন ছাত্র। নিহত ছাত্রের শরীরে আঘাত নেই। পথচারীর শরীরে আঘাত রয়েছে। আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরীর মুরাদপুর এলাকায় এই সংঘর্ষ শুরু হলেও তা ছড়িয়ে পড়ে বহদ্দারহাট থেকে জিইসি মোড় পর্যন্ত। কয়েক কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। একপক্ষ অপরপক্ষের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিকাল ৩টা থেকে নগরীর ষোলশহর স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের কথা ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের। এর আগেই ষোলশহর স্টেশন দখল করে রাখেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে আন্দোলনকারীরা মুরাদপুরে অবস্থান নেন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ষোলশহর থেকে মিছিল নিয়ে মুরাদপুর গেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নুজহাত ইনু বলেন, ‘হাসপাতালে আনা হলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ওয়াসিমকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ফারুককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনা হয়েছিল। আহত হওয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।