চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুরসহ আট জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাঁশখালীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদের আদালতে মামলাটি করেন কালীপুর ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল হক।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার অন্য আসামিরা হলেন জমির উদ্দীন, নুরুল মোস্তফা, আবু সৈয়দ, আবু বক্কর, আবু ছালেহ ও জয়নাল আবেদীন। আসামিরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ও মোস্তাফিজুর রহমানের অনুসারী।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নির্দেশে বাঁশখালীর কালীপুরে চাঁদাবাজি, জমি এবং বাগান দখলসহ বিরোধী দলের লোকজনের ঘরবাড়িতে আগুন দেন আসামিরা। ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর এবং ২০২৪ সালের ২৫ জুলাই আসামিরা কালীপুরে বাদীর লিচু বাগান দখল করেছেন। সাবেক এমপির নির্দেশে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির পাশাপাশি তার বাড়ি ভাঙচুর করেন।
মামলার বাদী নুরুল হক বলেন, ‘আসামিরা আমাকে বিগত দিনগুলোতে ক্ষমতার জোরে নির্যাতন করেছেন। আমার সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। আমাকে বাড়িতে থাকতে দেননি। চাঁদাবাজি করেছেন। এতদিন তাদের ভয়ে মামলা করতে পারিনি। তাই এখন মামলা করেছি।’