কক্সবাজারের টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ তিন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সদস্যরা। এ সময় নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি ৯ মি.মি. বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড তাজা গোলা উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন- মো. ইলিয়াস (৩০), নুর মোহাম্মদ (৬১) ও গুলিবিদ্ধ আব্দুল শক্কুর (৪০)। তারা সবাই উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। অভিযানের সময় পাচারচক্রের আরও চার সদস্য সাগরে লাফিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানায় কোস্টগার্ড।
সোমবার (১৯ মে) বেলা ১২টায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় কোস্টগার্ডের একটি দল টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের তুলাতলী ঘাটসংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে একটি সন্দেহভাজন ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকাকে থামার সংকেত দিলে পাচারকারীরা গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এতে কোস্টগার্ড সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে আব্দুল শক্কুর নামের একজন পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হন। পরে প্রায় এক ঘণ্টার ধাওয়া শেষে নৌকাটি জব্দ করে কোস্টগার্ড সদস্যরা।’
মিডিয়া কর্মকর্তা বলেন, ‘পরে নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড তাজা গুলি এবং আনুমানিক ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আহত শক্কুরকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক তিন জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকায় মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে কোস্টগার্ড নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালনা করছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে স্থানীয় জেলেরা বলছেন, ‘সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি নৌকায় আট জন জেলে সাগরে মাছ শিকারে যায়। পরে সকালে শুনেছি ওই নৌকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সকালে তুলাতুলি ঘাটে জেলেদের পরিবারের সদস্যরা এসে নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজাখুজি করতে দেখা গেছে।’