জুলাইযোদ্ধা ও পবিত্র কোরআনের হাফেজ মোহাম্মদ হাসানের নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (২৫ মে) সকাল ৯টায় নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চেউয়াখালি বাজারসংলগ্ন তরিকউল্যাহ সমাজ এলাকায় শহীদ হাসানের মায়ের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার জানাজায় এলাকায় মানুষের ঢল নামে।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলা শাখার আমির ইসহাক খন্দকার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালীর আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
জানাজায় জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলা শাখার আমির ইসহাক খন্দকার বলেন, যারা শাহাদাত বরণ করেন তারা পরকালে সর্বোচ্চ পুরস্কারপ্রাপ্ত। আর কোনও ফ্যাসিস্ট যাতে বাংলাদেশে কখনও জন্ম নিতে না পারে শহীদ হাসানের লাশকে সামনে রেখে তিনি সকেলর উদ্দেশ্য আহ্বান জানান।
জানাজাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্যে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন জাতিকে নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে ও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। শহীদ হাসান ছিল তার পরিবারের একমাত্র অবলম্বন। স্বৈরাচার পতনে তার আত্মত্যাগ ও অবদান জাতি চিরকাল স্মরণ করবে।’ তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারের জন্য সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের টাইগারপাসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুরুতর আহত হাসানকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল পাঠানো হয়। শেষে তাকে সে দেশের পায়াথাই পাহোলিওথিন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে হাসানের মৃত্যু হয়।