লক্ষ্মীপুরে আলোচিত মেহেদী হাসান তুষার জামায়াতের কেউ নন বলে জানিয়েছে দলটি। রবিবার (২৯ জুন) রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির লক্ষ্মীপুর শহর শাখার সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ।
এর আগে ‘জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ’ শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। যা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তুষার জামায়াতের কেউ নন বলে জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কিছু দিন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন মিডিয়ায় জনৈক তুষারের একটি মামলার কপি এবং জামায়াত কর্মীদের সিন্ডিকেট চাঁদাবাজি চলছে মর্মে খবর ফেসবুকে ভাসছে, যা আমাদের দৃষ্টিতে আসে। তাছাড়া কিছু কিছু পত্রিকায় ‘লক্ষ্মীপুরে জামায়াত কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে মর্মে আমরা জানতে পেরেছি।
আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলছি, উক্ত মেহেদী হাসান তুষার, পিতা- বাহার ভেন্ডার, সাং- বাঞ্চানগর জামায়াতের কোনও ইউনিট বা উপশাখার কর্মী নন। তার সঙ্গে বা তার চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের বিষয়ে জামায়াতের কোনও সম্পর্ক নেই।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরে টার্গেট করা ব্যক্তিদের মামলার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে মেহেদী হাসান তুষারের বিরুদ্ধে। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাহার ভেন্ডারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে অপহরণ, মামলার হুমকি, চাঁদা দাবি, জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি শরীফুল ইসলাম নামের এক কৃষক লীগ নেতাকে মামলার হুমকি দিয়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
তুষারের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করেন সাবেক স্কুলশিক্ষক আবুল হোসেন। এ ছাড়া ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার বিভিন্ন ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরপাক খাচ্ছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন অনেকেই। এদিকে তুষারের বিরুদ্ধে রয়েছে জমি দখলের অভিযোগ। ৩০ বছর আগে প্রবাসী ওমর ফারুকের কেনা দোকানঘর জোরপূর্বক দখল করে নেন তুষার ও তার বাবা বাহার ভেন্ডার।