ভারতের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১১৬তম পবিত্র ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় রাজবাড়ী রেলস্টেশন থেকে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর উদ্যোগে ২২টি বগিতে ২ হাজার ১০০ ওরশ যাত্রী স্পেশাল ট্রেনে ভারতের মেদিনীপুরে যাত্রা শুরু করবে।
বাংলাদেশ-ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে।
আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর সভাপতি কাজী ইরাদত আলী জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মেদিনীপরে নূরনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ৩৩তম ও গাউস-উল-আযম বড় পীর সৈয়দানা হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (আ.) পাক এর ২০তম অধস্তন পবিত্র বংশধর হযরত আলী আব্দুল কাদের সামছুল কাদেরী সৈয়দ শাহ মোরশেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ.) মশহুর নাম “মওলাপাক” এর ১১৬তম বার্ষিক পবিত্র ওরশ শরীফ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জোড়া মসজিদ মির্জামহল মেদিনীপুরে উদযাপিত হবে।
তিনি আরও জানান, আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পরবর্তিতে ভারতে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং সহজ করতে তিনি ভারত সরকারের কাছে দাবি জানান।
ওরশ শরীফ উপলক্ষে “বড় হুজুরপাক” কেবলা পরিচালিত আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া,রাজবাড়ীর উদ্যোগে ২২টি বগি সম্বলিত মেদিনীপুর ওরশ স্পেশাল ট্রেনে ১ হাজার ১৪৫ জন পুরুষ, ৮৫৩ জন নারী, ৮৫ জন শিশুসহ মোট ২ হাজার ১০০ জন ওরশ যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার রাত ১০টায় রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারতে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। পবিত্র ওরশ শরীফ শেষে ১৮ ফেব্রুয়ারি ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি আবার রাজবাড়ী ফিরে আসবে।
রাজবাড়ী রেলওয়ের টিএক্সআর (ট্রেন পরিক্ষক) কাজী আব্দুল বারেক জানান,বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে ২২টি বগি সম্বলিত ৬৫১৮ বিইডি-৩০ ইঞ্জিনের স্পেশাল ট্রেনটি পরিস্কার পরিচ্ছনভাবে যাত্রী সেবায় প্রস্তুত করা হয়েছে।
রাজবাড়ী থেকে ভারতের মেদেনীপুরে এই স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী মো. আজগর আলী বিশ্বাস জানান, তিনি অনেক বছর ধরে মেদেনীপুরের এই ওরশ শরীফে যান।প্রতিবারের মতো এবারও তিনি স্পেশার ট্রেনের যাত্রী হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন।
স্পেশাল এই ট্রেন দেখতে আসা গোলাম মাহবুব লিটন জানান, তিনি আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া তরিকার একজন ভক্ত।তিনি স্পেশাল ট্রেন দেখতে এসেছেন।রাজবাড়ী থেকে ভারতগামী এই ট্রেন দেখতে সারা বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষ রাজবাড়ীতে ছুটে আসেন বলে তিনি জানান।
/এআর/