X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে বৈরী আবহাওয়ায় ৫ কোটি টাকার ফসল নষ্ট

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
২৮ এপ্রিল ২০১৭, ১১:২২আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০১৭, ১১:২৩

বৈরী আবাওয়ায় ধান ক্ষেতের ক্ষতি গোপালগঞ্জে বৈরী আবহাওয়ায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে তরমুজ, বোরো ধান ও পাট।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, জেলার পাঁচ উপজেলায় ১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ করা হয়। এর মধ্যে ৩২৫ হেক্টর জমির তরমুজ ভারী বর্ষণে তলিয়ে যায়। তলিয়ে যাওয়া ২১৩ হেক্টর জমির তরমুজ কৃষক ঘরে তুলতে সক্ষম হয়। ১১২ হেক্টর জমির তরমুজ নষ্ট হয়ে ২ কোটি ৮০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। জেলায় এ বছর ৭৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে কৃষক বোরো ধানের আবাদ করে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমির ধান বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে। কৃষক ৭ হাজার ১৭০ হেক্টর জমির  বোরো ফসল কেটে ঘরে তোলে। ১৮০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ তলিয়ে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জেলার ২৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর পাট ক্ষেতের মধ্যে ১ হাজার ২৭০ হেক্টর  পাট ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। পানি নিস্কাশন করে কৃষক ১ হাজার ২৪৯  হেক্টর জমির পাটক্ষেত রক্ষা করেছে। ২১ হেক্টর জমির পাট জমিতেই পচে অন্তত ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।

নষ্ট হয়েছে তরমুজ কোটালীপাড়া উপজেলার হিজলবাড়ী গ্রামের তরমুজ চাষি স্বপন বর্ণিক বলেন, বৃষ্টির পানিতে তরমুজের জমি তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আমার মতো অনেকেই তরমুজ চাষ করেছিলেন। লাভের টাকায় দেনা পরিশোধের কথা থাকলেও আমাদের আশা ভেঙে গেছে।

কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় আমার ইউনিয়নের তরমুজ চাষিদের ক্ষেতের তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি টাকার। আমি এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে কৃষকদের ব্যাংক ও এনজিও এর ঋণ মওকুফের দাবি জানাচ্ছি।

নষ্ট ধান ক্ষেত গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজড়া গ্রামের কৃষক নজির উকিল বলেন, বৃষ্টিতে আমাদের নিচু এলাকার ধান তলিয়ে পানির নিচে চলে গেছে। এ ধান কাটা যাবে না। তবে কৃষি বিভাগ আগাম ধান কাটতে বারবার তাগিদ দিয়েছে। কিন্তু শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে পারিনি। আমার মতো ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল গ্রামের পাটচাষি খিজির খান বলেন,  ভাটিয়াপাড়া-গোপালগঞ্জ রেল লাইন নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে প্রয়োজনীয় ব্রিজ কালভাটের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ কারণে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হতে পারছে না। পাটের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ক্ষেতের পাট গাছ তলিয়ে যায়। অনেকে মেশিন বসিয়ে পানি নিষ্কাশন করে পাট রক্ষা করেছে। আমাদের মতো গরিব কৃষক ক্ষেত রক্ষা করতে পারেনি।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি সমীর কুমার গোস্বামী বলেন, বৈরী আবহওয়ায় গোপালগঞ্জে তরমুজ, বোরো ধান ও পাটের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা তালিকা করে ঢাকায় পাঠিয়েছি। বৈরী আবহাওয়া শুরুর অনেক আগে থেকেই আমরা কৃষককে ফসল রক্ষায় সব ধরনের পরামর্শ দিয়েছি। কৃষক শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে পারেনি। এ কারণে কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

/বিএল/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন, দেখে দুদক বললো ‘নিম্নমানের কাজ’
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন, দেখে দুদক বললো ‘নিম্নমানের কাজ’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার সাজেদুলের অভিষেক
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার সাজেদুলের অভিষেক
দাবদাহে স্থবির চুয়াডাঙ্গার জনজীবন
দাবদাহে স্থবির চুয়াডাঙ্গার জনজীবন
বানিয়ে ফেলুন আমের কাশ্মিরি আচার
বানিয়ে ফেলুন আমের কাশ্মিরি আচার
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে
সজলের মুগ্ধতা অপির চোখে, জন্মদিনে