ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের মেঘনা সেতু থেকে গোমতী সেতু পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৩ জুন) ঈদে ঘরমুখো মানুষ এই যানজটের কবলে পড়ে ভোগান্তির শিকার হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদে অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে মূলত এই যানজট। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িও বাড়ছে। তবে গাড়ি চলছে ধীরে ধীরে। মহাসড়ক চার লেন হলেও মেঘনা ও দাউদকান্দির গোমতী সেতু দুই লেনের হওয়ায় এই যানজট এড়ানো সম্ভব নয়।
গজারিয়ার ভবেরচর নিবাসী কাঞ্চন চৌধুরী জানান, গত তিন দিন ধরেই এখানে এই রকম যানজট। ঈদ উপলক্ষে গাড়ির চাপ অনেক বেশি। দুই লেনের সেতুর কারণে গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে না। তাই যানজট লেগে যায়। আজ দেখছি পুলিশ সেতুর একদিক আটকে রেখে আরেক দিক ছাড়ছে। এভাবে ধীরে ধীরে চলছে গাড়ি।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেদায়েতুল ইসলাম ভূইয়া জানান, দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সড়ক চার লেন হলেও মেঘনা সেতু ও গোমতী সেতুতে দুই লেন। আবার, সেতুতে টোল দেওয়া যায় একসঙ্গে আটটি গাড়ির। এতে করে টোল প্লাজায় টোল দিয়ে যখন ৮টি গাড়ি দুই লেনের সড়কে আসে তখন এমনিতেই ৬টি গাড়ি যানজটের সৃষ্টি করে। যদি সেতু নির্মাণ করা না হয় তাহলে এই যানজট থাকবেই।
তিনি আরও জানান, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন ভোগান্তি কম হয়। মোট ১২০ জন পুলিশ সদস্য মহাসড়কের গজারিয়া অংশে কাজ করছে।
/বিএল/