X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

১২ শিশুকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করলো মাদ্রাসা শিক্ষক

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
১২ জুলাই ২০১৯, ০১:০৩আপডেট : ১২ জুলাই ২০১৯, ০১:০৩

মাওলানা আল-আমিন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বায়তুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার ১২ শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে প্রধান শিক্ষক মাওলানা আল-আমিন। পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আইনে দায়ের করা মামলায় দোষ স্বীকার করে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে ওই শিক্ষকের জবানবন্দি নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়গঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান। গত রবিবার একই আদালত আল-আমিনকে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আইনে দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার ১২ শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন অভিযোগে র্যা ব-১১ সদস্যরা গত ৪ জুলাই মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে প্রধান শিক্ষক মাওলানা আল-আমিনকে। এ সময় মাদ্রাসা থেকে একটি ডেক্সটপে পর্নোগ্রাফি ভিডিও ও অনেক ছাত্রীর ছবির মাথা কেটে নগ্ন ছবির সঙ্গে সংযুক্ত করা ছবি ও মোবাইল ফোনে একাধিক ছাত্রীর ছবি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় র্যা বের ডিএডি কামাল হোসেন বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আইনে এবং নির্যাতনের শিকার এক শিশুর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফতুল্লা থানায় ৫ জুলাই আল-আমিনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় আল-আমিন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তিনি আরও জানান, একই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় আগামী রবিবার আল আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টিফিনের টাকা জমিয়ে দুই হাজার পথচারীকে স্যালাইন-পানি দিলেন ৫ শিক্ষার্থী
টিফিনের টাকা জমিয়ে দুই হাজার পথচারীকে স্যালাইন-পানি দিলেন ৫ শিক্ষার্থী
রাজনীতি ঠিক না হলে অর্থনীতি ঠিক হবে না: সালেহউদ্দিন আহমেদ
রাজনীতি ঠিক না হলে অর্থনীতি ঠিক হবে না: সালেহউদ্দিন আহমেদ
ক্লপের সঙ্গে টাচলাইনে মতবিরোধ নিয়ে সালাহ, ‘কথা বললে আগুন লাগবে’
ক্লপের সঙ্গে টাচলাইনে মতবিরোধ নিয়ে সালাহ, ‘কথা বললে আগুন লাগবে’
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু