X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ চান ‘উপাচার্যপন্থী’ শিক্ষকেরা

জাবি প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২৩:১০আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২৩:২৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (ফাইল ছবি)

দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেনের পদত্যাগ দাবি করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অনুসারী আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ চাওয়ার একদিনের মাথায় এ দাবি তুললেন তার অনুসারী শিক্ষকেরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপাচার্য সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, অধ্যাপক আমির হোসেন নিজে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ করছেন। সাবেক একজন উপাচার্যের প্রত্যক্ষ মদদে নিজে প্রশাসনের বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত থেকে আমির হোসেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করছেন। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্য ফারজানা ইসলামের দ্বিতীয় মেয়াদে পুনঃনিয়োগের পর থেকে তাকে নানাভাবে অসহযোগিতা করছেন অধ্যাপক আমির হোসেন। এ ছাড়া, প্রশাসনের গাড়ি ব্যবহার করে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে যান। অন্যদিকে, প্রশাসনের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের নির্ধারিত বৈঠক বর্জন করে তিনি সমাধানের পথকে জটিল করেছেন।

এ ছাড়া, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমিরের ভাগ্নি ভর্তিতে ‘কেলেঙ্কারি’র অভিযোগ তোলে সংগঠনটি। ওই অভিযোগের তদন্ত শেষ হয়েছে জানিয়ে শাস্তি নিশ্চিত এবং ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোনও কাজে তাকে বিরত রাখার দাবি করা হয়।

এদিকে, উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম উপ-উপাচার্য আমির হোসেনকে শোকজ করেছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে কয়েক ঘণ্টার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছয়জন শিক্ষকের মুঠোফোন সেবা বন্ধ হয়ে যায়। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আমির ছাড়া বাকি পাঁচ শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। মুঠোফোন সেবা বন্ধের পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে আন্দোলনরতদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের আলোচনায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকেন অধ্যাপক আমির। উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ওই আলোচনায় বসে দুইপক্ষ। আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে উপাচার্যের স্বেচ্ছা পদত্যাগ দাবি ও ভর্তি পরীক্ষায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, ‘প্রশ্নপত্র জালিয়াতির অভিযোগটি তৎকালীন বিএনপিপন্থী উপাচার্য অধ্যাপক মুস্তাহিদুর রহমানের রাজনৈতিক এজেন্ডা ছিল। এটি মীমাংসিত বিষয়। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এসময় এটি আলোচনায় আনা হলো তা চিন্তার বিষয়।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘উপাচার্য যদি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন, তখন যেন আমি কোনও পদে আসীন হতে না পারি, সেজন্য তারা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। গতকালের আলোচনা বর্জন করায় উপাচার্য আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। যেটি তার এখতিয়ারভুক্ত নয়। এটা আচার্যের অধীন।’

উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে না আসলে আমি শোকজ করতেই পারি। এই শোকজ হচ্ছে—তিনি কেন বৈঠকে উপস্থিত থাকেননি, এই নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি তার কর্তব্য পালন না করলে আমি অবশ্যই জানতে চাইতে পারি। আচার্য করলে ফাইনালি শোকজ করবেন।’

/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ-সৌদির উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সমীক্ষা সম্পন্ন
বাংলাদেশ-সৌদির উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সমীক্ষা সম্পন্ন
২০০১ সালে আলোচিত সেই ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
২০০১ সালে আলোচিত সেই ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
বিএনপির ধ্বংসে বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির ধ্বংসে বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না: ওবায়দুল কাদের
নব্য জেএমবি’র সদস্য মিলনের দোষ স্বীকার
নব্য জেএমবি’র সদস্য মিলনের দোষ স্বীকার
সর্বাধিক পঠিত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
অষ্টম শ্রেণির স্কুল বাড়াতে চায় সরকার
অষ্টম শ্রেণির স্কুল বাড়াতে চায় সরকার