X
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
১৬ আষাঢ় ১৪৩২

সন্তান হত্যার সঙ্গে নিভে গেলো বাবার স্বপ্নও

গাজীপুর প্রতিনিধি
২৫ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৪৫আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৪৫

নিহত নুরা ও তার দুই ভাই-বোন


কাজল ও ফাতেমা দম্পতির স্বপ্ন ছিল সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করবেন। এজন্যই দেশে স্ত্রী-সন্তানদের রেখে প্রবাসে থাকতেন কাজল। ছেলেমেয়েদের মানুষই করেই দেশে ফিরবেন তিনি। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। তার আগেই দুর্বৃত্তরা গলাকেটে হত্যা করলো কাজলের তিন সন্তান ও স্ত্রীকে।

কাজল-ফাতেমার তিন সন্তানের মধ্যে নুরা সবার বড়। সে মেধাবীও ছিল। তাই বাবা-মার বিশেষ নজরই ছিল তার ওপর। প্রয়োজন ছাড়া কারও সঙ্গে কথা বলতো না সে। স্কুলের সময়ের বাইরে সারাক্ষণ লেখাপড়া করতো। শিক্ষা জীবনের প্রতিটি পদে পদে সে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিল। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামে নিজ বাড়িতে সেও খুন হয়।
স্থানীয় এইচ এ কে একাডেমি থেকে নুরা এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু ফল প্রকাশের আগেই দুর্বৃত্তের হাতে প্রাণ হারালো সে।

নুরার দাদা আবুল হোসেন জানান, তার ছেলে কাজলের স্বপ্ন ছিল সন্তানদের মানুষ করেই প্রবাস থেকে ফিরবে। ছেলে প্রবাসে থাকায় তিনি মাঝে মাঝে পুত্রবধূ ও নাতনিদের খোঁজখবর নিতে আসতেন। তার পুত্রবধূ খুব ধার্মিক ছিলো। তার নাতনিরা মেধাবী ছিল। বিশেষ কোনও প্রয়োজন না হলে তারা কেউ বাসা থেকে বের হতো না। এ হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তার ছেলের স্বপ্নও নিভে গেল।
এইচ এ কে একাডেমির পরিচালক শাহীন সুলতানা জানান, নুরা প্রতিটি পরীক্ষায়সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিল। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিও পেয়েছিল। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে অংশ নিয়েছিল। এবারও তার ভালো ফল করার কথা রয়েছে।গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিও পেয়েছিল। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে অংশ নিয়েছিল। এবারও তার ভালো ফল করার কথা রয়েছে।




তিনি আরও জানান, নুরা স্কুলের শিক্ষকদের বলেছিল সে বড় হয়ে চিকিৎসক হয়ে দেশের অবহেলিত, খেটে খাওয়া মানুষের সেবা করবে। তার মা প্রায় স্কুলে এসে মেয়ের লেখাপড়ার খবর নিতেন। নুরা খুবই ভদ্র ছিল। তার মার্জিত আচরণের কারণে সবার বিশেষ নজরেই থাকতো সে। অকালেই নুরার মতো একটি মুকুল এভাবে ঝরে যাবে তা বিশ্বাসই হচ্ছে না। যারা তাকে হত্যা করেছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

 

/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আদালত চত্বরের নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী গঠনের প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল জারি
আদালত চত্বরের নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী গঠনের প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল জারি
ছাত্রদল নেতার হাতুড়ি পেটায় জাসদ কর্মী নিহত
ছাত্রদল নেতার হাতুড়ি পেটায় জাসদ কর্মী নিহত
মুল্ডারের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে জিম্বাবুয়ের সামনে রানের পাহাড়
মুল্ডারের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে জিম্বাবুয়ের সামনে রানের পাহাড়
চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ শ্রমিক দল-ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে
চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ শ্রমিক দল-ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে
সর্বাধিক পঠিত
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রী সাভারে উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রী সাভারে উদ্ধার
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় রফতানি ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় রফতানি ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
এমন যেন আর কারও সাথে না ঘটে, মুরাদনগরে নির্যাতনের শিকার নারী
এমন যেন আর কারও সাথে না ঘটে, মুরাদনগরে নির্যাতনের শিকার নারী