X
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

থাই পেয়ারায় ভাগ্যবদল

মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, গোপালগঞ্জ
০৭ আগস্ট ২০২০, ২১:৩৪আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২০, ২৩:০২

বাগানের থাই পেয়ারায় হাত বুলাচ্ছেন সামাউল থাই পেয়ারা চাষ করে ভাগ্য বদলেছেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের কদমপুর গ্রামের কৃষক সামাউল। তার পরিবারে ফিরেছে সুদিন। পাশাপাশি তার পেয়ারা বাগানে কাজ করে খেয়ে পরে ভালো আছে আরও ২০ পরিবার। জেলার অন্য কৃষকরা এ ধরনের পেয়ারা বাগান করে নিজেদের ভাগ্য বদলাবেন এমনটি প্রত্যাশা কৃষি বিভাগের।

মুকসুদপুর উপজেলার কৃষক সামাউল দুই কৃষি জমি লিজ নিয়ে শুরু করেন থাই পেয়ারা চাষ। শুরুর পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাগান থেকে ফলন পেতে শুরু করেন। তার জমিতে ১ হাজার ৪ শ ফলনশীল থাই পেয়ারা গাছ আছে। ছোট ছোট গাছে থাই জাতের পেয়ারায় ভরে গেছে পুরো বাগান। পেয়ারাকে পোকা-মাকড় ও ধুলাবালি থেকে রক্ষায় ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাগিং পদ্ধতি।

বছরের মাঝামাঝি সময়ে সবচেয়ে বেশি পেয়ারা ধরে গাছে। তবে ১২ মাসই ফলন পাওয়া যায়। চারা লাগানোর ১০ মাস পর থেকেই ফল পেতে শুরু করেন সামাউল। বাজারে পেয়ারার দাম কম হলেও অধিক ফলনে তা পুষিয়ে যায়। থাই পেয়ারা মিষ্টি, সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও প্রচুর। ফলে সহজেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করা যায়।

প্রতি কেজি থাই পেয়ারা ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত পাইকারি দামে বাগান থেকেই বিক্রি করেন সামাউল। তার পেয়ারা চাষের সাফল্যে ইতোমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। দেড় বছরে তিনি সাড়ে ৩ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার সাফল্য দেখে এলাকার অনেক যুবক পেয়ারা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

সামাউল হক বলেন, দুই একর জমিতে পেয়ারার চাষ করেছি। প্রথম দিকে ফলন একটু কম হলেও এখন প্রতি দিনই ফল বিক্রি করি। ২০ জন লোক বাগানে নিয়মিত কাজ করে। অনেকে আমার কাছে পরামর্শ নিতে আসে। আমি তাদের পেয়ারা চাষ করতে বলি। এটি নতুন জাতের পেয়ারা। এতে অনেক বেশি ফলন হয়। লাভও ভালো।

এই পেয়ারা বাগানে কাজ করে প্রতিদিন যা আয় হয় তাতে আমরা পরিবার নিয়ে খেয়ে পরে ভাল আছি বলে জানালেন বাগানে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা। মুকসুদপুর এসে সামিউলের পেয়ারা বাগান থেকে পেয়ারা কিনে নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করেন বলে জানালেন পেয়ারা কিনতে আসা এক পাইকার।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় জানান, আমাদের দেশে এক সময় বছরে একবারই পেয়ারা হতো। থাই জাতের পেয়ারা সারা বছরই ফল হয়। সামাউল এই পেয়ারা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। কৃষকরা যদি এই পেয়ারা চাষে উদ্বুদ্ধ হন তাহলে দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে এবং কৃষকও উপকৃত হবেন। আমি সবাইকে এমন বাগান করার জন্য আহ্বান জানাই। 

/আরআইজে/
সম্পর্কিত
গোপালগঞ্জ শহরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
গোপালগঞ্জ কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু
সড়ক পারাপারের সময় প্রাণ গেলো নারীর
সর্বশেষ খবর
৭৭ লাখ টাকা কমে তৃতীয় দরদাতাকে পশুর হাট দিচ্ছে ডিএনসিসি!
৭৭ লাখ টাকা কমে তৃতীয় দরদাতাকে পশুর হাট দিচ্ছে ডিএনসিসি!
দুপুরের মধ্যে ১৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির আভাস
দুপুরের মধ্যে ১৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির আভাস
পুতিনকে ‘উন্মাদ’ বললেন ট্রাম্প
ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্ববৃহৎ হামলাপুতিনকে ‘উন্মাদ’ বললেন ট্রাম্প
আজও সচিবালয়ে সমাবেশ করবেন কর্মচারীরা
আজও সচিবালয়ে সমাবেশ করবেন কর্মচারীরা
সর্বাধিক পঠিত
সোমবার থেকে বন্ধ থাকবে সব ধরনের আমদানি-রফতানি
সোমবার থেকে বন্ধ থাকবে সব ধরনের আমদানি-রফতানি
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি
রাস্তার পাশাপাশি মেট্রোস্টেশনে আন্দোলনকারীদের অবস্থান, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
রাস্তার পাশাপাশি মেট্রোস্টেশনে আন্দোলনকারীদের অবস্থান, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
বাংলাদেশসহ একাধিক দেশে সামরিক উপস্থিতি বিবেচনা করছে চীন: যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশসহ একাধিক দেশে সামরিক উপস্থিতি বিবেচনা করছে চীন: যুক্তরাষ্ট্র
বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়
বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়