ষাটোর্ধ্ব রোকেয়া বেগমের স্বামী মারা গেছেন অনেক আগে। বাবার ভিটার জীর্ণ ঘরে একাই থাকেন এই নিঃসন্তান বৃদ্ধা। দুই বেলা দুই মুঠো খাবারও জোটে না তার। এখন পর্যন্ত পাননি সরকারি কোনও সহযোগিতা।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মেহেরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা রোকেয়া বেগম। তিনি মৃত সোহরাফ মাতুব্বরের স্ত্রী।
বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন রোকেয়া বেগম। শরীরে বাসা বেধেছে নানা রোগ। কানে কম শোনেন, দেখতেও পান না ঠিকমতো। আয়-রোজগারের উপায় না থাকায় চলেন অন্যের দয়ায়। অর্ধাহারে-অনাহারে থাকেন কখনও। অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে থাকলে খোঁজ নেওয়ারও কেউ নেই।
রোকেয়া বেগম জানান, পাটকাঠির বেড়া দেওয়া শত ছিদ্রের টিনের ঘরে একাই থাকেন। একটু বৃষ্টি হলেই টিনের ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টি পড়ে অনায়াসে। কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে ঘরটি। ভেঙে পড়েছে মাটির তৈরি ডোয়ার চারপাশও। মা-বাবার মৃত্যু পর তার বসতঘরটি কখনও মেরামত করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘অন্যের কাছ থেকে চেয়ে-চিন্তে যা পাই তা দিয়েই কোনোরকমে চলে যায়। সরকারি কোনও সুযোগ-সুবিধা পেলে ভালো হতো।’
স্থানীয় বাসিন্দা ছমির মাতুব্বর জানান, নিঃসন্তান বিধবা রোকেয়া বেগমের স্বামী অনেক আগেই মারা গেছেন। এরপর তিনি বাবার ভিটায় ফিরে আসেন। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটে। সরকারি সহযোগিতা পেলে তিনি অন্তত দুই মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন।
গট্টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, রোকেয়া বেগমের বিষয়টি দেখা হবে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছলিমা আক্তার জানান, সরকারি কোনও সুযোগ-সুবিধা আসলে অবশ্যই তাকে দেওয়া হবে। আপাতত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার চেষ্টা করবেন বলে জানান।