রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার (১২এপ্রিল) রাতে গৃহবধূ জেসমিন খাতুনের (২২) লাশ ফেলে পালিয়ে গেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জেসমিন খাতুন পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের কোলানগর গ্রামের মাজেদ আলী মন্ডলের মেয়ে ও উপজেলার মৌরাট ইউপির ধূলিয়াট গ্রামের মন্টু আলী মিয়ার ছেলে লাভলু মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ৫/৬ বছর আগে জেসমিন ও লাভলুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রতিনিয়তই তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে নানারকম নির্যাতন করতেন। ঘটনার দিন রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হলে অভিমানে সে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে জেসমিনের বাবার বাড়ির লোকজন হাসপাতালে এলে উভয় পরিবারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় স্বামীর বাড়ির লোকজন লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
জেসমিনের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার লাগার কারণে জেসমিন ফাঁস দেয়। ফাঁস নেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এলে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে থেকে সবাই হাসপাতাল থেকে চলে আসে।
পাংশা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ জানান, এ ঘটনায় বুধবার থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।