মুন্সীগঞ্জে পুলিশের পোশাক পরে তিনটি ডাকাতির ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত একজনের দেওয়া তথ্যে তার ১১ সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে শহরের দেওভোগ এলাকায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল মামুন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো—চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার আনোয়ার হোসেন (৩০), মতলব উপজেলার মোহাম্মদ আল প্রকাশ (৪৩), ভাঙ্গা উপজেলার খলিলুর রহমান (৪০), একই উপজেলার মিঠুন কর্মকার (৩১), অষ্টগ্রাম উপজেলার সবিরঞ্জন নিশি (৩৫), হরিরামপুর উপজেলার নিরঞ্জন হাওলাদার (৩৫), সিরাজদিখান উপজেলার মোহসিন মোল্লা (৪৩), একই উপজেলার শামীম বেপারি (৩২), ভান্ডারিয়া উপজেলার আব্দুল আলীম (৩৪), মুলাদী উপজেলার মো. রফিক (৩০), একই উপজেলার কামাল বেপারি (৩৫) ও ঝালকাঠির রফিকুল ইসলাম বাবু (২৭)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘গত ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ সদরের চরডুমুরিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তৃষা জুয়েলার্সের মালিক প্রবীর পাল। চরকেওয়ার ইউনিয়নের ভিটি হোগলাকান্দি সেতুর ওপর পুলিশ পরিচয়ে তাকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর করে পাঁচ ডাকাত। পরে তার কাছ থেকে ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও দুই লাখ টাকা নিয়ে যায় তারা। এর আগে ২৯ জুন সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন মা অলংকার জুয়েলার্সের মালিক পলাশ। মিল্কিপাড়া এলাকায় পুলিশ পরিচয়ে তার কাছ থেকে ১০ ভরি স্বর্ণ ও তিন লাখ টাকা নিয়ে যায় চার ডাকাত। গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে শ্রীনগর উপজেলার কেউটখালীতে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে যানবাহন চালক ও যাত্রীদর জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সাত-আট ডাকাত। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পালানোর সময় এক ডাকাতের মৃত্যু হয়।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘এসব ঘটনায় প্রথমে খলিলুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১১ সঙ্গীর নাম-পরিচয় জানায় খলিলুর। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও কেরানীগঞ্জ থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির একটি মোটরসাইকেল, ৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ছয় হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় তিন-চারটি করে মামলা রয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আদিবুল ইসলাম, মো. মিনহাজ-উল-ইসলাম ও ডিবি পুলিশের ওসি আবুল কালাম আজাদ।