আবহাওয়া বিরূপ হওয়ায় বুধবার সকাল থেকেই নৌযান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে। তবে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ঈদের ছুটি কাটাতে ঘরে ফিরছে মানুষ।
বুধবার (২৮ জুন) সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ঘরমুখো মানুষের যাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে। বাড়ি ফেরায় বাড়তি দুর্ভোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে এই বৈরী আবহাওয়া। বাড়ি ফেরার শেষ মুহূর্তে তাই বিপাকে পড়েছে ঘরমুখো মানুষ। তবে বৈরী আবহাওয়ার পদ্মা নদী পার হতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে দৌলতদিয়া ঘাটে বাস টার্মিনাল এলাকায় ভিড় লেগেই থাকছে।
সরেজমিনে বুধবার বেলা ১১টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি লঞ্চ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঘাটে ভিড়ছে। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকে পরিবার নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে আসছে। এদিকে লঞ্চঘাট থেকে নেমে বৃষ্টিতে ভিজে টার্মিনাল পর্যন্ত যাচ্ছে যাত্রীরা।
পাটুরিয়া ঘাট থেকে লঞ্চে আসা কুষ্টিয়াগামী যাত্রী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। গতকাল থেকে ছুটি পেয়েছি। সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে আশুলিয়া থেকে পরিবার নিয়ে ভিজেই রওনা দিয়েছি। বৃষ্টির কারণে অনেক কষ্ট হয়েছে। আগামীকাল ঈদ তাই আজ যত কষ্টই হোক বাড়ি গিয়ে পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করলে আনন্দ লাগবে।’
বিআইডব্লিউটিএ-এর দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আফতাব হোসেন জানান, সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় লঞ্চগুলোতে যাত্রী কম পার হচ্ছে। অধিকাংশ যাত্রী ফেরিতে পারাপার হচ্ছে। তবে যাত্রী কম হলেও পাটুরিয়া ঘাটে লঞ্চে কিছুটা চাপ আছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৮টি লঞ্চ চলাচল করছে।
এদিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্পিডবোট দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাবনায় যাচ্ছে মানুষ। পদ্মার ঢেউয়ে বেশিরভাগ যাত্রীই ভিজে পাবনা থেকে আসা দৌলতদিয়া ঘাটে নামছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনের ব্যাপক তদারকির মধ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে দৌলতদিয়া ঘাট। যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে। পুলিশ, র্যাব, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও ভ্রাম্যমাণ আদালত একযোগে কাজ করে যাচ্ছে দৌলতদিয়া ঘাটে।’