গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে কারাগারের ভেতরে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এর জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।’
জেল সুপার শাহজাহান আরও বলেন, ‘বিকাল ৫টার দিকে কারাগারে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন। কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়।’
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় তার বুকে ব্যথা হচ্ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক করেছেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসকরা। বিকালে জরুরি ভিত্তিতে তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়।