নরসিংদীর মনোহরদীতে রাসেল ভূঁইয়া নামে এক মোবাইল ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের বীর আহম্মদপুর গ্রামের মফিজ মুহুরির বাড়ির পেছন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রাসেল ভূঁইয়া (৩৫) ওই এলাকার মৃত মাইন উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় চালাকচর বাজারে মোবাইল বিক্রি ও মেরামতের কাজ করতেন তিনি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সকালে বীর আহম্মদপুর গ্রামের মফিজ মুহুরির বাড়ির পেছনে রাসেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে স্ত্রীসহ তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় মনোহরদী থানা পুলিশ।
নিহত রাসেলের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় আমার মোবাইলটি মেরামত করে বাড়িতে দিয়ে যান রাসেল। এরপর আবার দোকানের উদ্দেশে রওনা হন। আরেকটি জরুরি বিষয় জানাতে রাসেলের মোবাইলে একের পর এক কল দিচ্ছিলাম। কয়েকবার কল কেটে দেওয়ার পর একপর্যায়ে নম্বর ব্লক করে দেওয়া হয়। রাতে বাড়ি না ফেরায় নির্ঘুম রাত কাটে আমাদের। রবিবার সকালে হাঁটতে বের হওয়া কয়েকজন ব্যক্তি মফিজ মুহুরির বাড়ির পেছনে লাশ দেখতে পান।
রোজিনা আক্তার বলেন, রিতা ও মাসুম এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও আমি মানা করায় রাসেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে তারা দুজন রাসেলের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে গেলে রাসেলকে মেরে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছেন তারা।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে ঘরের ভেতরে নিয়ে হত্যার পর লাশ ঘরের পেছনে ফেলে রাখা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’