X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

আজ মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

খুলনা প্রতিনিধি
২৭ অক্টোবর ২০১৬, ০৭:০২আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ০৮:৫৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো) পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হচ্ছে মংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌরুট। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যানেলটি উদ্বোধন করবেন।

বিআইডব্লিউটিএ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) ফরহাদুজ্জামান জানান, সুন্দরবনের অভ্যন্তরের বিকল্প নৌ পথ মংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেল। প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে মৃতপ্রায় এই চ্যানেলটি সচলের জন্য সরকার ২০১৪ সালের ১৫ জুন খননকাজ শুরু করে। প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ পর্যন্ত চ্যানেল থেকে প্রায় এক কোটি ৮২ লাখ কিউবিক ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক যৌথভাবে চিহ্নিত চ্যানেল সংলগ্ন ৮৩টি শাখা নদী ও শাখা খালের বাঁধ অপসারণ ও অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। এতে নদীতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে গত বছর জুনে পরীক্ষামুলকভাবে পণ্যবাহি নৌযান চলাচল শুরু করে। পুরোপুরি খনন কাজ শেষ হওয়ায় চ্যানেলটি নৌযান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ-এর খুলনার উপ-পরিচালক আশরাফ হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করবেন। এ লক্ষ্যে ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেলের খনন কাজসহ সার্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখছেন তারা। আর ইতিমধ্যে মার্কিং বয়া স্থাপনসহ সব প্রস্তুতি চুড়ান্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মংলা বন্দরের সঙ্গে দেশের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এ চ্যানেলটি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার যাতায়াতের অন্যতম পথও এটি। নাব্য সংকটের কারণে ২০১১ সালে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে যান চলাচলের অনুমতি দেয় বিআইডব্লিউটিএ। ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর শ্যালা নদীতে জাহাজ দুর্ঘটনায় তেল ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। ঝুঁকির মধ্যে পড়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য। পরে ২০১৪ সালের ১ জুলাই চ্যানেলটিতে খনন শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ-এর ড্রেজিং বিভাগ। চ্যানেলটির অবস্থা নিয়ে ৬ অক্টোবর খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ৫ অক্টোবর বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এতে ভাটার সময়ে চ্যানেলটিতে ১০-১২ ফুট গভীরতা এবং জোয়ারের সময়ে ২০-৩০ ফুট পানির গভীরতা পাওয়া গেছে। চ্যানেলটি ১৫০ থেকে ৩০০ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত। বর্তমানে জোয়ারের সময়ে বড় বড় জাহাজ এ চ্যানেলে যাতায়াত করছে। এতে সুন্দরবনের মধ্যকার শ্যালা নদী ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ছে না। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে চ্যানেলটি বিশেষ অবদান রাখছে।

/এএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৯
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৯
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
তিন মাঠে সাকিব, মোসাদ্দেক, জাকিরের তাণ্ডব
তিন মাঠে সাকিব, মোসাদ্দেক, জাকিরের তাণ্ডব
খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ