X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

খুলনা প্রতিনিধি
২৭ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:১৩আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:১৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো) পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের জন্য মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌরুট উদ্বোধন করলেন প্রধামনমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি চ্যানেলটি উদ্বোধন করেন।
বিআইডব্লিউটিএ-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) ফরহাদুজ্জামান জানান, সুন্দরবনের অভ্যন্তরের বিকল্প নৌ পথ মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল। প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে মৃতপ্রায় এই চ্যানেলটি সচলের জন্য সরকার ২০১৪ সালের ১৫ জুন খননকাজ শুরু করে। প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ পর্যন্ত চ্যানেল থেকে প্রায় এক কোটি ৮২ লাখ কিউবিক ঘনমিটার পলি অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক যৌথভাবে চিহ্নিত চ্যানেল সংলগ্ন ৮৩টি শাখা নদী ও শাখা খালের বাঁধ অপসারণ ও অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে। এতে নদীতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে গত বছর জুনে পরীক্ষামুলকভাবে পণ্যবাহি নৌযান চলাচল শুরু করে। পুরোপুরি খনন কাজ শেষ হওয়ায় চ্যানেলটি নৌযান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ-এর খুলনার উপ-পরিচালক আশরাফ হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করবেন। এ লক্ষ্যে ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেলের খনন কাজসহ সার্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখছেন তারা। আর ইতিমধ্যে মার্কিং বয়া স্থাপনসহ সব প্রস্তুতি চুড়ান্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মংলা বন্দরের সঙ্গে দেশের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এ চ্যানেলটি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার যাতায়াতের অন্যতম পথও এটি। নাব্য সংকটের কারণে ২০১১ সালে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে যান চলাচলের অনুমতি দেয় বিআইডব্লিউটিএ। ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর শ্যালা নদীতে জাহাজ দুর্ঘটনায় তেল ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। ঝুঁকির মধ্যে পড়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য। পরে ২০১৪ সালের ১ জুলাই চ্যানেলটিতে খনন শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ-এর ড্রেজিং বিভাগ। চ্যানেলটির অবস্থা নিয়ে ৬ অক্টোবর খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে একটি চিঠি দেন। ওই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ৫ অক্টোবর বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এতে ভাটার সময়ে চ্যানেলটিতে ১০-১২ ফুট গভীরতা এবং জোয়ারের সময়ে ২০-৩০ ফুট পানির গভীরতা পাওয়া গেছে। চ্যানেলটি ১৫০ থেকে ৩০০ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত। বর্তমানে জোয়ারের সময়ে বড় বড় জাহাজ এ চ্যানেলে যাতায়াত করছে। এতে সুন্দরবনের মধ্যকার শ্যালা নদী ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ছে না। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে চ্যানেলটি বিশেষ অবদান রাখছে। 

/এআর/এএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উপজেলা নির্বাচনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে হারলেন আ.লীগ নেতা
উপজেলা নির্বাচনে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে হারলেন আ.লীগ নেতা
‘ব্যবসায় মানোন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার মানবাধিকার’
‘ব্যবসায় মানোন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম হাতিয়ার মানবাধিকার’
ইসরায়েলে একাধিক হামলার দাবি হিজবুল্লাহর
ইসরায়েলে একাধিক হামলার দাবি হিজবুল্লাহর
এমপির ছেলের কাছে ৭০৩ ভোটে হারলেন জেলা আ.লীগের সভাপতি
এমপির ছেলের কাছে ৭০৩ ভোটে হারলেন জেলা আ.লীগের সভাপতি
সর্বাধিক পঠিত
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
শনিবারে স্কুল খোলা: আন্দোলন করলে বাতিল হতে পারে এমপিও
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
‘চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর’, বললেন ব্যারিস্টার সুমন
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
এক লাফে ডলারের দাম বাড়লো ৭ টাকা
হামাসের সংশোধিত প্রস্তাব গাজায় যুদ্ধবিরতি অচলাবস্থা ভাঙতে পারে: যুক্তরাষ্ট্র
হামাসের সংশোধিত প্রস্তাব গাজায় যুদ্ধবিরতি অচলাবস্থা ভাঙতে পারে: যুক্তরাষ্ট্র