X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

মিঠু হত্যা মামলায় ২ দেহরক্ষীসহ আটক ৪

খুলনা প্রতিনিধি
২৯ মে ২০১৭, ০০:৪৫আপডেট : ২৯ মে ২০১৭, ০০:৪৬

মিঠু হত্যা মামলায় ২ দেহরক্ষীসহ আটক ৪ খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু হত্যা মামলায় তার দুই দেহরক্ষী ও বিএনপির দুই নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।এদের মধ্যে দুইজন রবিবার (২৮ মে) বিকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালালের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ এ বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে তিনি নিরাপত্তার কারণে কোনও তথ্য দিতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে সোমবার (২৯ মে) সকাল ১১টায় এসপি’র কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে তিনি জানান।

নিহত বিএনপি নেতা মিঠুর ভাই সরদার সেলিম বলেন, ‘শনিবার রাতে শিমুল হাওলাদার ও সাদ্দাম নামে মিঠুর দুই দেহরক্ষীকে থানায় ডেকে নেওয়া হয়। এছাড়া ফুলতলা থানা বিএনপির সদস্য সচিব হাসনাত রিজভী মাশার্ল ভূইয়া ও মোতাহার হোসেন কিরণকে আটক করা হয়েছে। মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুও দলীয় এই দুই নেতাকে আটকের কথা শুনেছেন।’

এদিকে রবিবার দুপুরে ফুলতলা থানার প্রধান ফটক বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ওই সময় মিঠুর দেহরক্ষী শিমুলের বাবা ও পরিবারের সদস্যদের থানার সামনে বসে থাকতে দেখা যায়। শিমুল ও সাদ্দামকে পুলিশ আটক করেছে বলে তারা জানান।

শিমুল হাওলাদারের বাবা মিজান হাওলাদার জানান, তার ছেলেকে শনিবার রাতে পুলিশ বাড়ি থেকে ডেকে এনেছে। তারপর থেকেই তার ছেলের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। রবিবার সকালে থানায় এসে ছেলেকে দেখলেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি।

এদিকে রবিবার বিকালে দিঘলীয়া উপজেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দাদোলের খাস কামরায় জবানবন্দি দেওয়া দুই আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যায়। এ সময় ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী, জেলা গোয়েন্দা আক্কাস আলী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে নিজ অফিসে খুলনার ফুলতলা উপজেলার বাসিন্দা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু (৪৫) ও তার দেহরক্ষী নওশের গাজীকে (৪২) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর আগে ১৯৯৮ সালে মিঠুর বাবা সরদার আবুল কাসেমকে হত্যা করা হয়। এরপর ২০১০ সালে এ পরিবারের আরেক সদস্য মিঠুর বড় ভাই সরদার আবু সাইদ বাদলকেও হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ধারাবাহিক হত্যার সর্বশেষ শিকার হন মিঠু। আবুল কাসেম ও আবু সাইদ উপজেলার দামোদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফুলতলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিঠু ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

/এআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী