X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় আজ থেকে খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু

খুলনা প্রতিনিধি
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৯:৫৫আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১০:০৩

খুলনা খুলনায় এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকা। দাম সহনীয় রাখতে সরকার শুল্ক প্রত্যাহার করে নিলেও কতিপয় ব্যবসায়ী ও মিলারদের  সিন্ডিকেটের কারণে তা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এ অবস্থায় আজ  রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে খোলা বাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রম। বাজারে মোটা চাল ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হচ্ছে।

খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি মাঝারি ২৮ বালাম ৪৮ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট মানভেদে ৬০ থেকে ৬৩ টাকা, বাসমতি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। গত বছরের এ সময়ে কেজি প্রতি মোটা চাল ৩২ থেকে ৩৪ টাকা দরে বিক্রি হয়।

আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ড. এস এম মুহসিন বলেন, বাজারে চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে ওএমএস  কার্যক্রম চালু হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল পর্যায়ে থাকবে। ওএমএস  কার্যক্রমের জন্য খুলনায় দৈনিক ২০ টন চাল বিক্রির অনুমোদন রয়েছে। প্রতিদিন ২০ জন ডিলারের মাধ্যমে এই চাল বিক্রি করা হবে। বর্তমানে ওএমএস’র চাল কেজি প্রতি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হবে।

খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো.কামাল হোসেন জানান, সার্বিক বাজার মূল্য বিবেচনা করে এবার চালের মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল হয়ে সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে বলেও আশা করেন এ কর্মকর্তা।

ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। মিলারদের সিন্ডিকেট ও কারসাজির কারণে চালের দাম বাড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

খুলনা ধান চাল বণিক সমিতির সভাপতি মুনীর আহমেদ বলেন, ‘দেশে ধানের তেমন ঘাটতি বা সংকট নেই। আমদানি করা চালের দাম বাড়তে পারে। দেশি চালের দাম বৃদ্ধির কোনও যৌক্তিক কারণ নেই। কিন্তু প্রশাসন এটাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।’

লবণচরা সততা রাইচ মিলের স্বত্বাধিকারী হাজী মোল্লা ইলিয়াস বলেন, ‘বড় বড় মিলাররা ধান কিনে মজুদ করে রাখে। তারা সুযোগ পেলেই দাম বাড়ায়।  সাধারণের ধান ভাঙিয়ে আমরা জীবিকা নির্বাহ করছি। দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে ছোট মিল মালিকদের ভূমিকা পালনের কোনও সুযোগ নেই।’

এদিকে, খুলনা রাইচ মিল মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশে চিরাচরিত প্রথা হচ্ছে দাম বাড়লে মিল মালিকদের দোষ। আগে যে ধান ৮৭০-৮৮০ টাকা দরে কিনেছিলাম, এখন সেই ধান ১০৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এখন মোটা চালের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু তা জোগাড় করতে পারছি না। ২৮ ধানও পাচ্ছি না। সিলেট, চট্টগ্রাম এলাকায় আতপ চালের চাহিদা রয়েছে। ফলে ওই অঞ্চলে চাল চলে যাচ্ছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী চাল সরবরাহ হচ্ছে না। এর প্রভাব বাজারে পড়ছে।’
আরও পড়ুন:


পদ্মায় নয়, সাগরে মিলছে ইলিশ

/বিএল/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
থেমে থাকা ট্রাকে পিকআপের ধাক্কা, ২ জন নিহত
থেমে থাকা ট্রাকে পিকআপের ধাক্কা, ২ জন নিহত
প্রতিদিন মা হারাচ্ছে ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু
প্রতিদিন মা হারাচ্ছে ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু
সেন্ট জোসেফ স্কুলে তিন দিনব্যাপী লিট ফেস্টিভ্যাল শুরু
সেন্ট জোসেফ স্কুলে তিন দিনব্যাপী লিট ফেস্টিভ্যাল শুরু
জাকিরের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে প্রাইম ব্যাংকের বড় জয়
জাকিরের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে প্রাইম ব্যাংকের বড় জয়
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ