X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

এন্ডোসকপি করতে গিয়ে শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত, আদালতে মামলা

খুলনা প্রতিনিধি
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:১৪আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:১৪

এন্ডোসকপি করার সময় চিকিৎসকের অবহেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ করেছেন এক রোগী। এই ঘটনায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক (গ্যাসট্রো এন্টারোলজি) ডা. বিষ্ণুপদ পাইক এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোনালী ব্যাংক খুলনার সিনিয়ার প্রিন্সিপাল অফিসার গাজী কামাল হোসেনের স্ত্রী আফরোজা খাতুন বাদী হয়ে খুলনা মহানগর হাকিম এর আমলি আদালতে এই মামলা করেন।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সরদার জানান, গাজী কামাল চিকিৎসকের চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ডা. বিষ্ণুপদ পাইকের বিরুদ্ধে মহানগরী হাকিম এর আমলী আদালত (ক) অঞ্চলে বিচারক শহিদুল ইসলাম এর আদালতে ৩৩৮ ধারায় মামলাটি করছেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারধীন রয়েছে।
এই মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনফেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। মামলায় ডা. বিষ্ণুপদ পাইক বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আফরোজা খাতুনের স্বামী গাজী কামাল হোসেন পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে গত ৪ জানুয়ারি দুপুরে ডা. বিষ্ণুপদ পাইক এর চেম্বারে যান। সেখানে এনডোসকপি করার জন্য কামাল হোসেনের গলায় নল প্রবেশ করান ডা. বিষ্ণুপদ। এই সময় রোগী ব্যথায় চিৎকার করলেও চিকিৎসক তাতে কর্ণপাত না করে কাজ চালিয়ে যায়। এতে কামাল হোসেনের গলায় ডান শ্বাসনালী, খাদ্যনালী ও ডান ফুসফুস মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়; ডান ফুসফুসে বাতাস প্রবেশ করে। পরে কামাল হোসেন মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই দিন রাতেই তাকে খুলনা সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কামালের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠায়। পরে ৫ জানুয়ারি তাকে ঢাকার গ্রীন লাইফ হসপিটালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রফেসর ডা. একেএম রাজ্জাকের চিকিৎসাধীন থেকে তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে গত ১৩ জানুয়ারি খুলনায় ফিরেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর মো. ইকবাল হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর ইনজুরির রিপোর্ট পাওয়ার জন্য খুলনা সিটি মেডিক্যাল কলেজ ও ঢাকার গ্রীন লাইফ হসপিটাল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট পেলেই বাকি তদন্তের কাজ সম্পন্ন হবে।

নগরীর সামসুর রহমান রোডের বাংলাদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ- কনসালটেশন সেন্টারের এমডি মো. জামাল জানান, বর্তমানে ডা. বিষ্ণুপদ পাইক ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠানের ডাক্তার সম্পূর্ণ নির্দোষ, তিনি কোনও ভুল চিকিৎসা করেননি।

ভুক্তভোগী সোনালী ব্যাংক লিমিটেড খুলনার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গাজী কামাল হোসেন বলেন, ‘ওই ডাক্তারের কাছে এনডোসকপি করতে গিয়ে যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তাতে আমার বাঁচার কথা না। আর কোনও রোগীরা যেনও আমার মতো এমন ভুক্তভোগী না হয়। সেই জন্য তার শাস্তির দাবি জানাই।’

/এনএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অভিষেকে আস্থার প্রতিদান দিলেন তানজিদ
অভিষেকে আস্থার প্রতিদান দিলেন তানজিদ
এখনও উদ্ধার হয়নি পুলিশের অস্ত্র, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে সহিংসতাএখনও উদ্ধার হয়নি পুলিশের অস্ত্র, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ
রিকশাচালকদের ছাতা বিতরণ করলেন মেয়র আতিক
রিকশাচালকদের ছাতা বিতরণ করলেন মেয়র আতিক
রেল ও সড়ক বিটের রিপোর্টারদের সংগঠনের নতুন কমিটি
রেল ও সড়ক বিটের রিপোর্টারদের সংগঠনের নতুন কমিটি
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা