X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

অধ্যাপক সেলিমের মৃত্যু: জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার চায় শিক্ষক সমিতি

খুলনা প্রতিনিধি
০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:৪৫আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:৫১

অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের (৩৮) মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এখন বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন এবং নয় শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষক সমিতি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছে। তারা চলমান ক্লাস বর্জনসহ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পুনর্ঘোষণা দিয়েছেন।

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘কুয়েট কর্তৃপক্ষের নয় জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করাকে আমরা নেতিবাচকভাবে দেখছি। তবে আমাদের প্রধান দাবি ছিল, ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত অপরাধীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা। সেটা করা হয়নি। তাই কুয়েট শিক্ষক সমিতি আন্দোলন অব্যাহত রাখবে। রবিবার শিক্ষক ক্লাবে শোকসভা এবং কুয়েট জামে মসজিদে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।’

শিক্ষক ও ছাত্রদের অভিযোগ, কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান তার লোকজন নিয়ে গত ৩০ নভেম্বর ড. সেলিমের কক্ষে প্রবেশ করে অশালীন আচরণ এবং তাকে মানসিক নির্যাতন করেন। এর ফলে তিনি ৩০ নভেম্বর বেলা ৩টায় মারা যান।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সাধারণ সম্পাদক সেজানসহ উপস্থিত লোকজন তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ডাইনিং ম্যানেজার নির্বাচন করার জন্য হল প্রভোস্ট ড. সেলিম হোসেনকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ৩০ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন ছাত্ররা ক্যাম্পাসের রাস্তা থেকে ড. সেলিম হোসেনকে জেরা করা শুরু করেন। এরপর তারা ওই শিক্ষককে ধরে নিয়ে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করেন। সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধ ঘণ্টা ওই শিক্ষকের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। পরে ড. সেলিম দুপুরে খাবার খেতে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাসায় যান। বেলা ২টার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। পরে তিনি দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করেন এবং খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

/এমএএ/
সম্পর্কিত
জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ, আটক ২ সহস্রাধিক
খিলগাঁওয়ে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
সর্বশেষ খবর
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
ন্যাশনাল ব্যাংকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন, নিয়োগ পেলেন ১০ জন 
স্বস্তির জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে ফিরলো লিভারপুল
স্বস্তির জয়ে শিরোপার লড়াইয়ে ফিরলো লিভারপুল
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি চায় ঢাকা
ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহি চায় ঢাকা
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী