X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষক হত্যায় দুজনের যাবজ্জীবন

খুলনা প্রতিনিধি
৩০ জুন ২০২২, ১৬:০৯আপডেট : ৩০ জুন ২০২২, ১৬:০৯

খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানার মাত্তমডাঙ্গা শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনজীর আহমেদ হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার জ‌রিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মামলা থেকে ছয় আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের ১৭ বছর পর এই মামলার রায় হলো। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মুনজীর মাস্টার মাত্তমডাঙ্গা এলাকার শ্রীনাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি খানজাহান আলী থানার তৎকালীন বিএন‌পি সভাপতি ও স্থানীয় এজিএম যুব সংঘের সদস্য ছিলেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হচ্ছে- খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন গিলাতলা ১নং কলোনির মো. সরোয়ার হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও একই এলাকার মো. গোলাম জিলানী মল্লিকের ছেলে মো. আশ্রাফ আলী। মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বাদশা শেখ, সোহেল, রুবেল, মেজবাহ উদ্দিন মুকুল, আহাদ ও সেকান্দার ওরফে এসকেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে মুনজীর মাস্টার মাত্তমডাঙ্গা যুব সংঘের ভেতরে গিয়ে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে প্রধান ফটক দিয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী সেখানে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগে ওই শিক্ষককে লক্ষ্য করে একের পর এক বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে। এর মধ্যে দুটি বোমা শিক্ষকের হাতে ও পিঠে লাগে। মারাত্মক জখম অবস্থায় যুব সংঘের অন্যান্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত ১টার দিকে মারা যান। তবে মারা যাওয়ার আগে তিনি ভাই বেনজীর আহমেদের কাছে সব ঘটনার বিবরণ বলে যান।

জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে নিহতের ভাই বেনজীর আহমেদ অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় দুটি পৃথক মামলা করেন। উভয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন খানজাহান আলী থানার এসআই মো. ফারুকুল ইসলাম। তিনি একই বছরের ১২ ডিসেম্বর বোমা ও ২০০৬ সালের ৩০ জুন হত্যা মামলায় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সমাজবিরোধী কাজের ঘোর বিরোধী ছিলেন ওই শিক্ষক। অপরদিকে, আসামিরা নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকায় হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। এসব কাজের বিরোধিতা করায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে এবং পরে হত্যা করে।

চার্জশিটের বর্ণনা অনুযায়ী, ২০০০-২০০৬ সাল পর্যন্ত খুলনার মানুষ সব সময় চরমপন্থীদের নিয়ে আতঙ্কে থাকতেন। কিছু নেতা মুনজীর মাস্টারের কাছে চাঁদা দাবি করে। দাবি করা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তাকে হত্যার হুমকিও দেয় তারা। এ সংবাদ জানতে পেরে মুনজীর মাস্টার স্থানীয় সাংবাদিক মনিরকে বিষয়টি জানান। মনির বিভিন্ন সভা ও সমাবেশে হুমকিদাতাদের নাম উল্লেখ করে বক্তব্য দিতে থাকেন। এরপর শুরু হয় তাকে হত্যার পরিকল্পনা।

/এফআর/
সম্পর্কিত
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
ভাগ্নিকে শায়েস্তা করতে নাতিকে হত্যা
খিলগাঁওয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সর্বশেষ খবর
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
লখনউ ও চেন্নাইয়ের অধিনায়ককে ১২ লাখ রুপি জরিমানা 
লখনউ ও চেন্নাইয়ের অধিনায়ককে ১২ লাখ রুপি জরিমানা 
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো ইউপি সদস্যের
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো ইউপি সদস্যের
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা