বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা দেশ স্বাধীন করেছি গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। কোনও রাজা-রানি রাজত্ব করার জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করিনি। দেশে আজ কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। দেশ আজ হীরক রাজার দেশে পরণিত হয়েছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। এখন দড়ি ধরে টান মারার সময় এসেছে। বর্তমান সরকারের অবস্থাও হীরক রাজার মতোই হবে।’
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে পৌঁছাতে আমাকে আড়াই কিলোমিটার জনসমুদ্র পাড়ি দিতে হয়েছে। দেখে মনে হয়েছে আমরা প্রাক বিজয় উৎসব পালন করছি। সারা দেশের মানুষ আজ আবেগতাড়িত, উদ্বেলিত। অন্যদিকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বেদনাহত।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি ম্যাডামকে বলে এসেছি, সারা দেশের মানুষ আজ আপনার জন্য চিন্তিত। আপনি বাংলাদেশের জন্য যা করেছেন তা মানুষ ভুলবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে এই সরকারকে বাধ্য করা হবে। একদফার আন্দোলন চূড়ান্ত করেই দেশের মানুষ ঘরে ফিরবে ইনশাল্লাহ।’
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনার পরিচালনায় রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহদী আহম্মেদ রুমী, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দীন টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামানসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘আমরা একদফার দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। তারেক রহমান মৃত বিএনপিকে জীবিত করেছেন। এই আন্দোলনে শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তারপরও বিএনপি মাঠ ছাড়েনি। কারণ একটাই হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া বিএনপি ঘরে ফিরবে না।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আর কত রক্ত দেশের মানুষ দিলে শেখ হাসিনা ক্ষান্ত হবে? এই সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত বিদায় না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। তিনি বলেন শয়তানির একটা সীমা আছে। সরকার চোর ডাকাতদের মুক্তি দিচ্ছে অথচ তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দিচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘সময় থাকতে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করুন। নইলে মাইর একবার শুরু হলে রেহাই পাবেন না।’ তারেক রাহমানকে বিমান বন্দরে রিসিভ করার জন্য উপস্থিত জনতাকে অগ্রিম দাওয়াত দেন।