X
সোমবার, ১২ মে ২০২৫
২৮ বৈশাখ ১৪৩২

খুলনায় টানেলসহ ২১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা

হেদায়েৎ হোসেন, খুলনা
১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:০০আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:০০

খুলনার রূপসা ফেরিঘাটে টানেল, জেলখানা ঘাটে সেতু নির্মাণসহ ২১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকার ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অগ্রগতির কথা চিন্তা করে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ভাবছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, কয়েকটি পাঠানোর প্রক্রিয়ায় আছে। সবগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট দফতরটি।

বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ। তিনি বলেন, ‘এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বদলে যাবে। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে দেশের অর্থনীতি হবে সমৃদ্ধ হবে। স্থানীয় পর্যায়ে সব শ্রেণির মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’

খুলনা সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সূত্র জানায়, ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে রূপসা ফেরিঘাট টানেল। এর দৈর্ঘ্য হবে এক হাজার মিটার। সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার কোটি টাকা। প্রকল্প-২ ভৈরব নদের ওপর জেলখানা ঘাটে সেতু। এর দৈর্ঘ্য হবে এক হাজার ৩০০ মিটার। সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে জাইকা। প্রকল্প-৩ গল্লামারী-বটিয়াঘাটা-দাকোপ-নলিয়ান ফরেস্ট সড়কটি মেরিন ড্রাইভ সড়কের আদলে উন্নীতকরণ। এর দৈর্ঘ্য হবে ৬৫ কিলোমিটার, সম্ভাব্য ব্যয় দুই হাজার কোটি টাকা। ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলছে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত প্রকল্প। প্রকল্প-৪ পাইকগাছা-সোলাদানা-বটিয়াঘাটা সড়কের মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ। এর দৈর্ঘ্য সাড়ে ৩৫ কিলোমিটার। সম্ভাব্য ব্যয় ৭৫০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, যা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। প্রকল্প-৫ খুলনা সিটি বাইপাস সড়ক (এন-৭০৯), শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক জোনে গমনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণসহ নতুন চারলেন সড়ক ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ওভারপাস নির্মাণ। এর দৈর্ঘ্য ১০ দশমিক ৩০ কিলোমিটার। সম্ভাব্য ব্যয় ৫৫০ কোটি টাকা। নকশা প্রস্তুত সম্পন্ন হলে মন্ত্রণালয়ে ডিপিপি পাঠানো হবে।

প্রকল্প-৬ জেলখানা ঘাট থেকে তেরখাদা দিয়ে গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলিয়া পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ। এর দৈর্ঘ্য ৩৫ কিলোমিটার। সম্ভাব্য ব্যয় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। ভূমি অধিগ্রহণসহ সার্ভের কাজ চলছে। প্রকল্প-৭ যশোর থেকে খুলনা পর্যন্ত এবং খুলনা শহরের বাইপাস সড়কের আফিল গেট থেকে কুদিরবটতলা পর্যন্ত ছয়লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ। এর দৈর্ঘ্য ৬০ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার। সম্ভাব্য ব্যয় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে ডিপিপি পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প-৮ আফিল গেট থেকে পাওয়ার হাউস মোড় পর্যন্ত ছয়লেনে উন্নীতকরণ। এর দৈর্ঘ্য ১৬ কিলোমিটার। সম্ভাব্য ব্যয় আড়াই হাজার কোটি টাকা। এরই মধ্যে টাইপোগ্রাফিক্যাল সার্ভের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প-৯ গল্লামারী-বটিয়াঘাটা-দাকোপ-নলিয়ান ফরেস্ট সড়কের দ্বিতীয় অংশ এবং খুলনা শহরের বাইপাস সড়কের ১৯তম অংশের ক্রসিং পয়েন্ট সাচিবুনিয়া ইন্টারসেকশনের উন্নয়নকাজ। এর জন্য ১৫ কোটি টাকার সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। প্রকল্প-১০ পানখালী ফেরিঘাটে ঝপঝপিয়া সেতু নির্মাণ। এর দৈর্ঘ্য এক হাজার ২৩০ মিটার। সম্ভাব্য ব্যয় ৭০০ কোটি টাকা। ১১তম চীন মৈত্রী সেতুর আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ছিল। পরে অন্য দাতা সংস্থার মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ডিপিপি পাঠানো হয়েছে।

 গ্রামীণ এই জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বদলে যাওয়ার আশা

প্রকল্প-১১ জেলা সড়ক প্রকল্পের আওতায় দিঘলিয়া-আড়ুয়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ। এর দৈর্ঘ্য ২৯ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার। সম্ভাব্য ব্যয় ১৫০ কোটি টাকা। সার্ভের কাজ চলছে, নকশার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প-১২ আতাই নদীর ওপর আতাই সেতু নির্মাণ। এর দৈর্ঘ্য এক হাজার ৪০০ মিটার। সম্ভাব্য ব্যয় ৬৪৩ দশমিক ১৫ কোটি টাকা। ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প-১৩ তেরখাদা-মোল্লাহাট সড়কের খুলনা অংশের মান ও প্রশস্ততা উন্নীতকরণ। এর দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার। সম্ভাব্য ব্যয় ৫০ কোটি টাকা। ডিপিপি প্রস্তুতের কাজ চলছে। প্রকল্প-১৪ দাকোপ-বারবাড়িয়া-মাগুরখালী-তালা সড়কের ৯ম কিলোমিটার থেকে ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মান ও প্রশস্ততা উন্নীতকরণ। এর দৈর্ঘ্য ১৬ কিলোমিটার। সম্ভাব্য ব্যয় ১৪৭ কোটি টাকা। সার্ভের কাজ চলছে। প্রকল্প-১৫ ফুলতলা-শাহাপুর-মিক্সিমিল-ডুমুরিয়া সড়কের প্রশস্ততা উন্নীতকরণ। এর দৈর্ঘ্য ২৯ কিলোমিটার। সম্ভাব্য ব্যয় ১৮০ কোটি টাকা। সার্ভে চলছে ও নকশার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প-১৬ কয়রা-নোয়াবেকি-শ্যামনগর সড়কের মান ও প্রশস্ততা উন্নীতকরণ। এর দৈর্ঘ্য সাত কিলোমিটার। সম্ভাব্য ব্যয় ৫২ কোটি টাকা। পিএসপি কর্তৃক অনুমোদনের পর একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

/এএম/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঋণের চাপে ছোট হচ্ছে বাজেট, উন্নয়নে বরাদ্দ ৪ বছরে সর্বনিম্ন
ঋণের চাপে ছোট হচ্ছে বাজেট, উন্নয়নে বরাদ্দ ৪ বছরে সর্বনিম্ন
দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও লিভারপুলকে রুখে দিলো ১০ জনের আর্সেনাল
দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও লিভারপুলকে রুখে দিলো ১০ জনের আর্সেনাল
সীমান্তে গোলাবর্ষণের আতঙ্কে ফিরতে চান না বাস্তুচ্যুত গ্রামবাসী
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতসীমান্তে গোলাবর্ষণের আতঙ্কে ফিরতে চান না বাস্তুচ্যুত গ্রামবাসী
আমিরাতে সিঙ্গাপুরের গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে তাহসিনের ড্র
আমিরাতে সিঙ্গাপুরের গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে তাহসিনের ড্র
সর্বাধিক পঠিত
আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
আওয়ামী লীগ কচু পাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ
বেসরকারি ব্যাংক সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে, অধ্যাদেশ জারি
বেসরকারি ব্যাংক সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে, অধ্যাদেশ জারি
মহাসড়কের পাশে দুই যুবকের লাশ, একজনের গলাকাটা অপরজনের চোখ উপড়ানো
মহাসড়কের পাশে দুই যুবকের লাশ, একজনের গলাকাটা অপরজনের চোখ উপড়ানো
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে যে আইনি ব্যাখ্যা দিলেন ব্যারিস্টার কাজল
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে যে আইনি ব্যাখ্যা দিলেন ব্যারিস্টার কাজল