যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ জেলা শাখার উদ্যোগে এ মানববন্ধন করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে জাতীয় শ্রমিক লীগ জেলা শাখার সহসভাপতি সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করার জন্য এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এই মামলার বাদী পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত। অবিলম্বে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। একইসঙ্গে মুকুলকে পিপি পদ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
এর আগে মঙ্গলবার যশোরে পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে মারপিটের অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন তিনি। মামলায় শহিদুল ইসলাম ছাড়াও শাহীন নামে আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা আইনজীবী সমিতির সামনের ফুটপাতে কিছু ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী টেবিল পেতে কাপড় বিক্রি করেন। সেখানে এক ব্যবসায়ীকে জোর করে উঠিয়ে, অন্য একজনকে বসান শাহীন নামের এক ব্যক্তি। এ সময় ওই ব্যক্তি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নির্দেশে তিনি এ টেবিল বসিয়েছেন। এটি কেউ উঠালে তার হাত কেটে নেওয়া হবে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ পার্শ্ববর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেন।
এরপর ফাঁড়ির এসআই হেলাল মীমাংসার জন্য ৯ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহীনসহ অন্য ব্যবসায়ীদের ডেকে পাঠান। একইসঙ্গে শহিদুল ইসলাম ও পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে ফাঁড়িতে ডেকে নেন। কিন্তু হঠাৎ শহিদুল ইসলাম একদল যুবক নিয়ে ফাঁড়িতে আসেন। তিনি মুকুলকে ‘ধান্দাবাজি করিস’ উল্লেখ করে মারপিট শুরু করেন। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।