বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘লুটপাট ও চোরতন্ত্রের রাজনীতি আওয়ামী লীগই শুরু করেছে, যা শেখ মুজিবের আমল থেকে শেখ হাসিনার আমল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্র হত্যা করার ইতিহাস, এক দলীয় শাসনতন্ত্র কায়েম করার ইতিহাস।’
তিনি বলেন, ‘ভাষা শিখতে হবে, অবশ্যই দুটি ভাষা শিখতে হবে। আমি নিজেও অন্য ভাষা শিখেছি। আগামীতে আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্তত দুটি ভাষা শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেবো। জনগণের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে সারা দেশে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা ও বহুভাষিক শিক্ষার প্রচলন করতে চায় বিএনপি। বিএনপির হাত ধরেই দেশে বহু সংস্কার হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা করেছিলেন আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ৯০ পরবর্তী সংসদীয় সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন বিএনপির মাধ্যমেই হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই পুনরায় গণতন্ত্র ফিরে আসবে।’
শুক্রবার (১৬ মে) বিকালে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার বিষয়ক তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘২০১৪ থেকে প্রবঞ্চনামূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ এ দেশে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের করা শ্বেতপত্র তথ্য মতে, ট্যাক্স ছাড়ের নামে আওয়ামী লীগ যে দুর্নীতি করেছে তার অর্ধেকও রোধ করা গেলে শিক্ষাখাতে দ্বিগুণ ও স্বাস্থ্যখাতে তিন গুণ বাজেট বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হতো। এই দুর্নীতি ও অনিয়মের বেড়াজাল থেকে বের হতে বহু প্রাণের তাজা রক্ত দিতে হয়েছে। তাই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে যে জনজাগরণ ঘটেছে তা অব্যাহত রাখতে সবার আগে বাংলাদেশ এই নীতি আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ভালো রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলে আওয়ামী বাকশাল আর কখনও দাঁড়াতে পারবে না।’
সেমিনারে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার পাঁচ শতাধিক তরুণ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, অধ্যাপক ড. আজিজুল হক, মারুফ মল্লিক, ডা. সায়েম রহমান, সাহিদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শামিমা সুলতানাসহ প্যানেল আলোচকরা।
বক্তারা বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং আগামীতে ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য দলটির প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।