নেত্রকোনায় ঘন ঘন লোড-শেডিং আর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ, আকাশে মেঘ আর বিজলি চমকালেই নেত্রকোনায় বিদ্যুৎ চলে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গ্রাহকরা বিদ্যুৎ পায় না।
দিনে-রাতে মিলিয়ে জেলা শহরে ৬/৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও করুণ। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট আর লোডশেডিংয়ের কারণে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসা বাণিজ্যে নেমে এনেছে স্থবিরতা।
রমজান শুরু হওয়ার আগের দিন থেকেই জেলায় লোডশেডিং বেড়ে গেছে। বিদ্যুতের অভাবে মুসল্লীদের তারাবি নামাজ আদায় করতে কষ্ট হচ্ছে।
নেত্রকোনা উন্নয়নে নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক খানে আলম খান, মসজিদ কোয়ার্টার এলাকার আইনজীবী অ্যাড. মাহফুজুল হক, সাতপাই নদীর পাড় এলাকার আলপনা বেগম, কুরপাড় এলাকার সুজাদুল ইসলাম ফারাসসহ আরও অনেকেরই অভিযোগ, বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে রাখা অনেক খাবার নষ্ট হচ্ছে এবং লো-ভোল্টেজের কারণে টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ বিভিন্ন ইলেকক্ট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী হেলাল মো. আফজালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘জেলা শহরে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৫ মেগাওয়াট, কিন্তু জাতীয় গ্রিড থেকে আমরা সরবরাহ পাচ্ছি ১২-১৩ মেগাওয়াট। এ ছাড়াও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে পুরাতন যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে এগুলো প্রায়ই অচল হয়ে পড়ায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সমস্যা হচ্ছে।’
/এআর/