জামালপুরে এসএসসির নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের অনিয়মিত প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পরীক্ষার্থীরা। তারা পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। জেলা প্রশাসক আহমেদ কবির বলেছেন, ‘যেভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সেভাবেই মূল্যায়ন করা হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়ায় বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেসহ কয়েকটি কেন্দ্রে প্রথমে নিয়মিত পরীক্ষাদের ২০১৮ সালের অনিয়মিত প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। ২০ মিনিট পর তা পাল্টিয়ে ২০১৯ সালের নিয়মিত প্রশ্ন দেওয়া হয়। এতে বিপাকে পড়ে ২১৩ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শেষে তারা বিক্ষোভ করে। একই ঘটনা ঘটে জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার উলফাতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের ২৯৫ পরীক্ষার্থী ২০১৮ সালের অনিয়মিত প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা শেষে তারা বিক্ষোভ করে। বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা এই পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান।
বকশীগঞ্জ উপজেলায় অনিয়মিত প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়ার পরীক্ষার্থীরা সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
একই ঘটনা ঘটে জেলার ইসলামপুর উপজেলার নেকজাহান মডেল হাই স্কুল কেন্দ্রে। ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রের ২০০ জন পরীক্ষার্থী ২০১৮ সালের অনিয়মিত প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা শেষে এখানেও বিক্ষোভ করে পরীক্ষার্থীরা।
অনিয়মিত প্রশ্নে পরীক্ষার নেওয়ার বিষয়ে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবির বলেন, ‘বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। যে প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সেভাবেই পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হবে এবং এর জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এবার জামালপুরে এসএসসি, ভোকেশনাল ও দাখিল পরীক্ষায় ৩৯ হাজার ৯২৭ জন নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।