X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্ষণের জন্য একেক দিন একেক ছাত্রীকে বেছে নিতো বেলালী

হানিফ উল্লাহ আকাশ, নেত্রকোনা
০৬ জুলাই ২০১৯, ২৩:৪১আপডেট : ০৭ জুলাই ২০১৯, ১৬:৫৫

 

আবুল খায়ের বেলালী একেকদিন একেক ছাত্রীকে নিজকক্ষে ডেকে নিতো অধ্যক্ষ আবুল খায়ের বেলালী। এরপর সেবার নামে চলতো যৌন নির্যাতন। নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বাদে আঠারো এলাকায় ‘মা হাওয়া কওমি মহিলা মাদ্রাসা’য় এ ঘটনা ঘটেছে। মামলার তদন্তকারী ও নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মাদ শাহজাহান মিয়া তার ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা জানান। তিনি প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (৫ জুলাই) এ পোস্ট দেন।

মাদ্রাসাটি কেন্দুয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় অবস্থিত।

আবুল খায়ের বেলালী মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৫ জুলাই) জুমার নামাজের আগে অধ্যক্ষ বেলালী দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন নির্যাতন চালায়। মেয়েটির চিৎকারে প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ খবর শুনে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। পরে তারা মাদ্রাসায় গিয়ে বেলালীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মেয়েটির চাচা বেলালীকে আসামি করে শুক্রবার কেন্দুয়া থানায় মামলা করেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমন ঘটনা শুনে অন্য এক ছাত্রীর বাবাও শুক্রবার (৫ জুলাই) ধর্ষণের আরও একটি মামলা দায়ের করেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘দেড় মাস আগে বেলালী এই মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তার বাড়ি পাশের সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের সোনাকানী গ্রামে।’

সংস্কৃতিকর্মী রহমান জীবন বলেন, ‘বাবা-মায়েরা তাদের কোমলমতি শিশুদের এই শিক্ষকের ওপর বিশ্বাস করে মাদ্রাসায় দেন। অথচ সেই শিক্ষক এমন জঘন্য কাজ করেছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’

ফেসবুক পোস্ট মামলার তদন্তকারী ও নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মাদ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘বেলালীকে শনিবার (৬ জুলাই) বিকালে নেত্রকোনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। বেলালী ১৬৪ ধারায় আদালতের বিচারক জুয়েল ম্রংয়ের উপস্থিতিতে ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘বেলালী আরও অনেক মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে। শিগগিরই তদন্ত করে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।’

উল্লেখ্য, কেন্দুয়া পৌর শহরের বাদে আঠারো বাড়ি এলাকায় ২০১৫ সালে জহিরুল ইসলাম ভূইয়া (কাজল) মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয়রা জানান, পরে এখানে শিক্ষকতা শুরু করেন বেলালীর স্ত্রী ও শ্যালিকা। দেড় মাস আগে মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন বেলালী। এখানে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত পড়ানো হয়।

আরও খবর...
ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে গণপিটুনি

 

/এনআই/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গাবতলীতে হবে মাল্টি মোডাল বাস টার্মিনাল: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
গাবতলীতে হবে মাল্টি মোডাল বাস টার্মিনাল: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
নির্বাচনের আগের দিন ফরিদপুরের উপজেলা চেয়ারম্যানপ্রার্থী শামসুল আলম কারাগারে
নির্বাচনের আগের দিন ফরিদপুরের উপজেলা চেয়ারম্যানপ্রার্থী শামসুল আলম কারাগারে
সব কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: মেয়র তাপস
সব কর্মচারীর জন্য আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে: মেয়র তাপস
উপজেলা নির্বাচন অর্থ ও সময়ের অপচয় মাত্র: সাইফুল হক
উপজেলা নির্বাচন অর্থ ও সময়ের অপচয় মাত্র: সাইফুল হক
সর্বাধিক পঠিত
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
ছাত্রলীগ সহসভাপতি সাদ্দামের বছরে আয় ২২ লাখ, ব্যাংকে ৩২ লাখ, উপহারের স্বর্ণ ৩০ ভরি
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাচনছাত্রলীগ সহসভাপতি সাদ্দামের বছরে আয় ২২ লাখ, ব্যাংকে ৩২ লাখ, উপহারের স্বর্ণ ৩০ ভরি
বৃষ্টি ও বন্যার কী পূর্বাভাস পাওয়া গেলো?
বৃষ্টি ও বন্যার কী পূর্বাভাস পাওয়া গেলো?
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল