ময়মনসিংহের ভালুকায় চলন্ত বাসে ‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে’ বাস থেকে ফেলে দেওয়া পোশাককর্মী মারা গেছেন। রবিবার (১৮ জুন) সকাল পৌনে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত নারীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায়। তিনি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় বসবাস করতেন। সেখান থেকে শ্রীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর সঙ্গে ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেনের কথা হয়। ভিকটিমের বরাত দিয়ে ওসি জানান, গত ১৬ জুন রাত ৯টার দিকে ছুটির পর গাজীপুরের মাওনা থেকে একটি বাসে করে ভালুকায় আসছিলেন ওই পোশাককর্মী। পথে বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে তিনি একা হয়ে যায়। এ সময় বাসের চালক ও হেলপার তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে চালক ও হেলপার তাকে চলন্ত বাসের জানালা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে পালিয়ে যায়। এতে ওই নারী মাথায় আঘাত পান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, ওই দিন রাতেই বাসচালক রাকিব মিয়া (২১), হেলপার আনন্দ দাস (১৯) ও আরিফ মিয়াকে (২১) আটক করা হয়। মামলার পর আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, হত্যাচেষ্টা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
ওসি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হয়েছিল ওই নারী নিজেকে বাঁচাতে বাস থেকে লাফ দিয়েছিলেন। পরে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ওই নারীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বাসের জানালা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।’