শেরপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তিন দিন বয়সী এক মেয়ে নবজাতক চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছে শিশুটির পরিবার।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের বটতলা এলাকার বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবায়দুল আলম।
শিশুটির পরিবার জানায়, গত বুধবার বিকালে পৌর এলাকার চাপাতলী মহল্লার মাংস ব্যবসায়ী মো. ফিরোজ মিয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আবেদা বেগমকে অস্ত্রোপচার করার জন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আবেদা কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তখন থেকে ফিরোজের মাসহ তার দুই আত্মীয় তাদের সঙ্গে ওই হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে হাসপাতালে একজন অজ্ঞাত নারীর সঙ্গে তাদের সখ্যতা গড়ে ওঠে। ওই নারী তাদের জানান, তার এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় শিশুটির মা বাথরুমে ও অন্য স্বজনরা বাইরে থাকার সুযোগে বোরকা পরা ওই নারী শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যান। ফিরে এসে শিশুটিকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ের স্বজনরা। ঘটনার পর ওই কক্ষের সামনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে ক্যামেরা নষ্ট বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়।
শিশুটির বাবা ফিরোজ মিয়া বলেন, এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যোগসাজশ রয়েছে। পরে বাইরের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় বোরকা পরা ওই নারী শিশুটিকে নিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়েকে উদ্ধারের ব্যবস্থা না নিলে আইনি পদক্ষেপ নেবো।
স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক দিদারুল ইসলাম দিদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শিশুটিকে যে নারী চুরি করে পালিয়েছেন তিনি শুক্রবার এক রোগীর স্বজন পরিচয়ে এসেছেন। পাশের বেডেই ছিলেন। সকালে শিশুটিকে কোলে নিয়ে চলে যান ওই নারী। এখন আমরা কীভাবে বুঝবো সেই নারী চোর। তাকে সন্দেহজনক মনে হলে আমাদের জানালে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতাম। হাসপাতালে অনেক লোকজন ও স্বজনরা আসেন, কে কোন রুমে কিংবা রোগীর কাছে যাবেন সব তো জিজ্ঞেস করা যায় না।’
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবায়দুল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিশু চুরির ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।’