এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার গ্রেফতার হওয়া এহতেশামুল হক ভোলা (৪১) ও মনিরকে (২৮) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে মিতু হত্যা মামলায় ভোলাকে আসামি দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মঙ্গলবার বাকলিয়া থানায় দায়ের করা পৃথক আরেকটি মামলায় ভোলা ও মনির উভয়কে আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( প্রশিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মিতু হত্যা মামলার ঘটনায় এহতেশামুল হক ভোলাকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুপুরের পর চট্টগ্রামের ৫ম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক নাজমুল হোসেন চৌধুরী রিমান্ড আবেদনের ওপরে ঈদের পরে শুনানির সিদ্ধান্ত দিয়ে ভোলাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একইদিনে, বাকলিয়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক আরেকটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে। এ মামলাতেও ভোলা ও মনিরকে আসামি দেখিয়ে ৩য় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমাণ্ডের আবেদন করে পুলিশ। আদালতের বিচারক নওরীন আক্তার কাকন আবেদনের ওপরে ঈদের পরে শুনানির সিদ্ধান্ত দিয়ে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এই হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার গত রবিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকা থেকে এহতেশামুল হক ভোলাকে ও মঙ্গলবার ভোরে মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, মিতু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ারকে অস্ত্র এনে দেন ভোলা। হত্যাকাণ্ডের সময় ভোলাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। খুনের ঘটনার পর ভোলা অস্ত্রগুলো ফিরিয়ে নেন। পরে পুলিশি হয়রানির ভয়ে অস্ত্রগুলো মনিরের ঘরের খাটের তলায় লুকিয়ে রাখেন।গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে .৩২ বোর ও ৭.৬৫ বোরের বিদেশি পিস্তল দুটো উদ্ধার করে পুলিশ।
/টিএন/