X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

নড়াইলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নড়াইল প্রতিনিধি
২৩ আগস্ট ২০১৬, ১৯:৩৯আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০১৬, ১৯:৫৮

খালেদা জিয়া স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন নড়াইলের একটি আদালত।
সমন পেয়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতের বিচারক মো. জাহিদুল আজাদ এ পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। গত ২৫ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন আদালত।মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম খান জানান, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সমন পেয়েও তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আগামি ৩১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
জেলার কালিয়া উপজেলার চাপাইল গ্রামের  মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান মো. রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর  মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া, একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে  ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়। মামলার বাদী নড়াইলের নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে বসে খবরটি পড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হন। পরে  তিনি বাদী হয়ে ২৪ ডিসেম্বর (২০১৫) খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি মধ্যে জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দেন। বাদী রায়হান ফারুকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি হওয়ায় শহীদদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার এ ধরনের বক্তব্যে মর্মাহত হয়ে মামলাটি করেছেন তিনি।
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলের একটি আদালতে ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর আরও একটি মানহানি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে ওইদিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামেও একটি মানহানি মামলা করা হয়। মামলা দু’টি দায়ের করেন শহীদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিক বিল্লাহ।
নড়াইল সদর আমলী আদালতের তৎকালীন বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মাদ জাকারীয়্যা মামলা দু’টির বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতাকে (ওসি) এ বছরের ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

 মামলা ‍দু’টির বাদী শেখ আশিক বিল্লাহ বলেন, আমি মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষ হওয়ায় শহীদদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার বিতর্কিত বক্তব্য এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যে মর্মাহত হয়ে মামলা দায়ের করি।

 /এমএসএম/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দুই ভাইয়ের বিরোধে মুরাদনগরের সেই ঘটনার ভিডিও ছড়ানো হয়: র‌্যাব
দুই ভাইয়ের বিরোধে মুরাদনগরের সেই ঘটনার ভিডিও ছড়ানো হয়: র‌্যাব
গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবের নিশ্চয়তা চায় হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবের নিশ্চয়তা চায় হামাস
জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬ সাংবাদিক: কেমন আছে তাদের পরিবার
জুলাই আন্দোলনে নিহত ৬ সাংবাদিক: কেমন আছে তাদের পরিবার
কুমিল্লায় বিদেশি পিস্তলসহ বিএনপি নেতা গ্রেফতার
কুমিল্লায় বিদেশি পিস্তলসহ বিএনপি নেতা গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল