রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহান নিজের সন্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি সুইসাইড নোটে লিখেছেন, ‘যে বাবা নিজের সন্তানের গলায় ছুরি ধরতে পারে, সে যে কোনও সময় সন্তানকে মেরেও ফেলতে পারে।’
শুক্রবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষ থেকে আকতার জাহানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর ল্যাপটপের নিচে তার নিজ হাতে লেখা একটি সুইসাইড নোটটি পাওয়া যায়।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। শারীরিক, মানসিক চাপের কারণে আত্মহত্যা করলাম। সোয়াদকে যেনো ওর বাবা কোনওভাবেই নিজের হেফাজতে নিতে না পারে। যে বাবা নিজের সন্তানের গলায় ছুরি ধরতে পারে, সে যে কোনও সময় সন্তানকে মেরেও ফেলতে পারে বা মরতে বাধ্য করতে পারে। আমার মৃতদেহ ঢাকায় না নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেওয়ার অনুরোধ করছি।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের শিক্ষক তানভির আহমদের সঙ্গে দীর্ঘদিন সংসার করেন আকতার জাহান। ২০১২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দকৃত ওই আবাসিক ভবনে (জুবেরি) একাই থাকতেন আকতার জাহান। তাদের সংসারে একটি ছেলে (সোয়াদ) রয়েছে। সে ঢাকায় নানির বাড়ি থেকে পড়াশোনা করে।
/এআরএল/