রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানের (জলি) মৃত্যুর ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। নিহতের ভাই মো. কামরুল হাসান (৪০) বাদী হয় নগরীরর মতিহার থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আকতার জাহান কারো দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্ররোচিত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহাকারী কমিশনার (মতিহার জোন) একরামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, মৃতদেহের সঙ্গে আমার বোনের স্বহস্তে লিখিত একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে, যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। সেই সুইসাইড নোটের হাতের লেখা যে আকতার জাহানের, তা তার বিভাগের সহকর্মী ও পুলিশ কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন। এই সুইসাইড নোট থেকে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কারো না কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী/প্ররোচনাকারীদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে মর্জি হয়।’
শুক্রবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি ভবনের ৩০৩ নম্বর কক্ষ থেকে আকতার জাহানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর ল্যাপটপের নিচে তার নিজ হাতে লেখা একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের শিক্ষক তানভির আহমদের সঙ্গে দীর্ঘদিন সংসার করেন আকতার জাহান। ২০১২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দকৃত ওই আবাসিক ভবনে (জুবেরি) একাই থাকতেন আকতার জাহান। তাদের সংসারে একটি ছেলে (সোয়াদ) রয়েছে। সে ঢাকায় নানির বাড়ি থেকে পড়াশোনা করে।
/এআরএল/