X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে সহকর্মী ও হোটেল কর্মচারীদের মারধরের অভিযোগ

চট্টগ্রাম ব্যুরো
০৬ জুলাই ২০১৭, ১৩:৫৭আপডেট : ০৬ জুলাই ২০১৭, ১৩:৫৭

পুলিশ চট্টগ্রাম নগর পুলিশ পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে তার সহকর্মী ও একটি হোটেলের চার কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মদ্যপানকে কেন্দ্র করে সোমবার (৪ জুলাই) রাতে নগরীর আগ্রাবাদের সেন্ট মার্টিন নামক একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘একজন পরিদর্শকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, ‘সোমবার রাতে পুলিশ ইন্সপেক্টর মাইনুল ইসলাম ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আলমকে মারধর করেন। সৈয়দ আলম ওই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ কমিশনারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই দিন রাতে পরিদর্শক মাইনুল ওই হোটেলের চার কর্মচারীকে মারধর করেছেন বলে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত হোটেল কর্তৃপক্ষ থানায় কোনও অভিযোগ করেননি।’
পুলিশ সূত্র জানায়, মাইনুল ইসলাম গত সোমবার রাতে নগরীর আগ্রবাদের হোটেল সেন্টমার্টিনের ৪১৫ নম্বর কক্ষে ওঠেন। কক্ষে ওঠে তিনি নেশাজাতীয় পানি চান। এসময় তার অর্ডারকৃত পানীয় দিতে দেরি হওয়ায় তিনি রেগে গিয়ে হোটেলের কর্মচারীকে মারধর শুরু করেন।
হোটেলে অবস্থান করা বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করতে সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন ডবলমুরিং থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আলম। হট্টগোল শুনে তিনি ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে মাইনুল ইসলাম তাকেও মারধর করেন। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক-উর-রহমানকে জানালে ডবলমুরিং থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ঘটনাস্থলে যান। তবে তিনি যাওয়ার আগে হোটেল ছেড়ে যান মাইনুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে অভিযুক্ত পুলিশ পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম বলেন, ওই দিন রাতে কী ঘটেছে, আমার মনে নেই। বিষয়টি কমিশনার জেনেছেন, তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমি সেটা মাথা পেতে নেবো।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা ও তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে মাইনুলের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় প্রথমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও পরবর্তীতে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বরখাস্তের আদেশ তুলে নেওয়া হয়। এরপর এখন পর্যন্ত তাকে কোথাও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বর্তমানে মাইনুল সিএমপি পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন।
/এআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত
পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত
নাট্যকার সংঘ: সভাপতি মুননা, সম্পাদক উজ্জ্বল
নাট্যকার সংঘ: সভাপতি মুননা, সম্পাদক উজ্জ্বল
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
কায়রো সফরে যাচ্ছে হামাসের প্রতিনিধিদল
কায়রো সফরে যাচ্ছে হামাসের প্রতিনিধিদল
সর্বাধিক পঠিত
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে