গত ১৩ জুন প্রবল বর্ষণের কারণে রাঙামাটিতে ঘটে যাওয়া স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড় ধসের কারণে প্রাণহানি ঘটেছে। এই ঘটনায় রাঙামাটি জেলায় চার সেনা সদস্যসহ সর্বমোট ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক লোক।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পাহাড় ধসে ১২০ জন প্রাণ হারিয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৮ হাজার ৫০০ পরিবার। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ১ হাজার ২৩১টি বাড়ি, আংশিক বিধ্বস্ত বাড়ির সংখ্যা ৯ হাজার ৫০০। বাকিগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ধসের শিকার পরিবারগুলোর বেশির ভাগই এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাবারের জোগান দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে প্রবল বর্ষণের কারণে ধসে পড়েছে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়া শালবন এলাকার প্রায় দেড়শো মিটার রাস্তা এবং রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের দুটি স্থানও ধসে পড়েছে। এতে খাগড়াছড়ি সড়কে এখনো যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে হালকা যানবাহন চললেও ভারি যানবাহন চলাচলের উপযোগি হতে সময় লাগবে আরও এক মাসের মত। ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে বেকার বসে আছে পরিবহনসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের যতদিন পর্যন্ত পুনর্বাসন করা হবে না ততদিন পর্যন্ত সরকারি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং শিগগিরই রাস্তাঘাটসহ সব ধরনের যান চলাচলের উপযোগি হবে বলে জানান জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান।
/জেবি/
আরও পড়তে পারেন: সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ভাঙচুর