মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে দাবি করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাজির উদ্দিন বলেন,‘আইন নিয়ে কেউ আমাকে প্রশ্ন করলে আমার কিছু করা নেই। কারণ আইন তো আমি তৈরি করিনি। আর আইন সংশোধন করার এখতিয়ারও আমার নেই। বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নগর ভবনের কেবি আব্দুস সত্তার মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি করপোরেশনের অধিভুক্ত ইমারত ও জমির কর অ্যাসেসমেন্ট সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে জানানোর জন্য এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
অপপ্রচার ও গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন,‘সিটি করপোরেশনের কর তফসিল ২০১৬ অনুযায়ী গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। ওই তফসিলে ইমারত ও জমির কর ৭ শতাংশ, ময়লা নিষ্কাশন কর ৭ শতাংশ, সড়ক বাতি বাবদ ৫ শতাংশ ও স্বাস্থ্য কর ৮ শতাংশ অর্থাৎ সব মিলিয়ে ২৭ শতাংশ কর নেওয়ার বিধান থাকলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরবাসীর সুবিধার্থে আগের মতো ১৭ শতাংশ এবং কোনও কোনও ওয়ার্ডে ১৪ শতাংশ কর আদায় করার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রেখেছে।’
নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন,‘আইনের মধ্যে থেকে ধার্য কর পরিশোধ করে সর্বোচ্চ সুবিধা নেওয়াসহ অ্যাসেসমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করুন। আসুন, চূড়ান্তভাবে ধার্য কর পরিশোধ করে এই শহরকে পরিকল্পিত, বসবাস উপযোগী, বিশ্বমানের সুন্দর ও নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলি।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সম্পন্ন করা এই অ্যাসেসমেন্টে সর্বমোট এক লাখ ৮৫ হাজার ২৪৮টি হোল্ডিংয়ের বিপরীতে প্রস্তাবিত বার্ষিক কর ধরা হয়েছে ৮৫১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যার মধ্যে নতুন ২৮ হাজার ৭০২টি হোল্ডিংয়ের বিপরীতে কর ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। পুরনো অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী ধার্য মোট দাবির পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। বর্তমান অ্যাসেসমেন্টে নতুন হোল্ডিংয়ের বিপরীতে ধার্য কর বাদ দিলে মোট দাবির পরিমাণ দাঁড়ায় ৮০৪ কোটি টাকা।
গৃহকর বৃদ্ধির ঘটনায় সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও এম মনজুর আলম চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু সাবেক দুই মেয়র নন, সাবেক কাউন্সিলররাসহ আরও অনেকে আমাকে চিঠি পাঠিয়েছেন। আমি খুব শিগগির এসব চিঠির জবাব দেব। আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে দুই মেয়রকে তাদের চিঠির উত্তর দেবেন বলে তিনি জানান।
আরও পড়তে পারেন: নড়াইলে আমন ধানে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক