গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতীক পেয়ে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের প্রতীক বিতরণ করেন। তিনি বলেন, ‘মেয়র পদে সাত, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৮৪ এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’
মেয়র পদে প্রতীকপ্রাপ্তরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বিএনপি মনোনীত দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন (ধানের শীষ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মনোনীত কাজী মো. রুহুল আমীন (কাস্তে), ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ফজলুর রহমান (মিনার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মো. নাসির উদ্দিন (হাত পাখা) ও একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ (টেবিল ঘড়ি)।
রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘কোনও কোনও প্রার্থী প্রতীক বিতরণের আগেই নির্বাচনি মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন, যা নির্বাচনি আইনের লঙ্ঘন। যাদের এরকম লঙ্ঘনে প্রমাণ পেয়েছি তাদেরকে বিধি অনুযায়ী সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রচারণার ক্ষেত্রেও বিধিমালা রয়েছে।’ এর ব্যত্যয় ঘটলে নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনদুর্ভোগ যেন সৃষ্টি না হয়, শিক্ষার্থীদের যেন কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে তিনি প্রার্থীদের অনুরোধ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রার্থীদের অন্যতম প্রধান একটি চাওয়া। এটি প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাচন কমিশন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মাইক ব্যবহার করতে পারবেন। এক ওয়ার্ডের মাইক অন্য ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে পারবে না।’
নির্বাচনী প্রতীক হাতে পেয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর জনগণের কাছে এখন আমার প্রতীকটি উপস্থাপন করবো। প্রতীক নিয়ে ভোটারের কাছে যাবো। আধুনিক এবং পরিকল্পিত নগর গঠনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কাজে শরীক হতে ভোটারদের আহ্বান জানাবো।’
বিএনপি মনোনীত দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ধানের শীষ প্রতীকটি গাজীপুর নগরবাসীর পরিচিত একটি প্রতীক। এ প্রতীক উন্নয়নের প্রতীক। এ প্রতীকে ভোটদানে গাজীপুরবাসী ভুল করবে না।’
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মনোনীত মো. জালাল উদ্দিন বলেন, গাজীপুর মহানগর একটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বিধি অনুযায়ী প্রচারণা চালিয়ে যাবো। জয়ী হলে প্রথমেই ময়লা আবর্জনামুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন মহানগর প্রতিষ্ঠা করবো।’
২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জাকির হোসেন জানান, তিনি তার ওয়ার্ডকে মানুষের নির্বিঘ্ন বাসযোগ্য ওয়ার্ড গঠনে সচেষ্ট থাকবেন।
২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ড থেকে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অ্যাডভোকেট শাহনাজ আক্তার জানান, নির্বাচিত হলে তিনি নারী ও শিশুদের জন্য সরকারের দেওয়া বরাদ্দ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।