X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুতে ব্যস্ত যশোরের খামারিরা

যশোর প্রতিনিধি
০৮ আগস্ট ২০১৮, ১১:৫৭আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০১৮, ১২:৫৬

গরুর খামার ঝিকরগাছা উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় খামারি হাসানুর রহমান। এবারের কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্যে তিনি ৬০টি গরু মোটাতাজা করেছেন। তার খামারে এক লাখ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের গরু রয়েছে। এরই মধ্যে ১৯টি গরু তিনি বিক্রিও করেছেন। আশা করছেন এবার তিনি ভালো মুনাফা করতে পারবেন।

হাসানের মতো যশোরের ৮টি উপজেলায় গরু-ছাগল মোটাতাজা করছেন প্রায় সাড়ে ১১ হাজার খামারি। প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানোয় এসব খামারের মাংস নিরাপদ হবে বলে মনে করছেন খামারি ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

গরুর খামার খামারি ও সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর ভারতীয় গরু আসা বন্ধ থাকায় প্রতি বছরই যশোরে খামারের সংখ্যা বাড়ছে। আর এসব খামারে দেশি পদ্ধতিতে পালন করা হচ্ছে হাজার হাজার গরু ও ছাগল। যশোর জেলায় খামারির সংখ্যা ৬ হাজার ২০০ এবং ছাগলের খামারি রয়েছেন ৫ হাজার ৩০০। এসব খামারে ৩২ হাজার ৯৭৩ গরু এবং ২৬ হাজার ছাগল মোটাতাজা করা হয়েছে। তবে এটা গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। গত ৬ মাসের পরিচর্যায় মোটাতাজা করা গরু-ছাগল এখন বিক্রির জন্য প্রস্তুত।

কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুতে ব্যস্ত যশোরের খামারিরা

পশু চিকিৎসক শামছুর রহমান বলেন, ‘আমার তত্ত্বাবধানে প্রায় ২০টি খামার রয়েছে। আমি এসব খামার তত্ত্বাবধান করি। খামারিরা প্রাকৃতিক খাদ্য, যেমন- নেপা ঘাস, খুদ, কুড়ো, খড়, ভূষি, খৈল  ইত্যাদি পশুর খাবার হিসেবে ব্যববহার করে থাকেন। পশু মোটাতাজাকরণে  তারা কেউই ক্ষতিকর কোনও রাসায়নিক, হরমোন কিংবা ট্যাবলেট ব্যবহার করে না। সে কারণে কোরবানির জন্যে তৈরি করা এসব পশু স্বাস্থ্যের জন্যে নিরাপদ।

কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুতে ব্যস্ত যশোরের খামারিরা ঝিকরগাছা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, গতবারের তুলনায় এবার পশুর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। কিন্তু এতে জেলার কোরবানির চাহিদায় কোনও প্রভাব ফেলবে না। পশু চিকিৎসক এবং প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের তদারকিতে দেখা গেছে, খামারিরা পশু মোটাতাজা করতে  প্রাকৃতিক খাবারই ব্যবহার করছেন। স্বাস্থ্যের জন্যে হুমকি—এমন কোনও ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে এসব মাংস সর্বাংশে নিরাপদ।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার বলেন, জেলায় খামারের সংখ্যা বাড়লেও পশু পালনের সংখ্যা কমেছে। এবারে জেলার কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হলেও বাইরে বেশি একটা পাঠানো যাবে না।

কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুতে ব্যস্ত যশোরের খামারিরা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গতবার কোরবানির পশুতে খামারিরা দাম কম পাওয়ায় এবার মোটাতাজাকরণ কিছুটা কমেছে। সে কারণে উদ্বৃত্তের সংখ্যাও কম।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, কোরবানির জন্য যশোরে প্রায় ৫৫ হাজার গরু-ছাগলের চাহিদা রয়েছে। যার বিপরীতে পালন হয়েছে প্রায় ৫৯ হাজার। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার কম।

 

 

 

/এসটি/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘শেখ হাসিনা কেবল দেশের উন্নয়ন করেননি, জাতিকে কলঙ্কমুক্তও করেছেন’
‘শেখ হাসিনা কেবল দেশের উন্নয়ন করেননি, জাতিকে কলঙ্কমুক্তও করেছেন’
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত বেড়ে প্রায় সাড়ে ৩৪ হাজার
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত বেড়ে প্রায় সাড়ে ৩৪ হাজার
যাত্রাবাড়ীতে চাঁদা আদায়ের সময় গ্রেফতার ১৫
যাত্রাবাড়ীতে চাঁদা আদায়ের সময় গ্রেফতার ১৫
‘কালি ও কলম’ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন চার তরুণ
‘কালি ও কলম’ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন চার তরুণ
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে