X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ফের বন্ধ

দিনাজপুর প্রতিনিধি
২৮ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৫৩আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৫৪

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ফের বন্ধ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ফের বন্ধ করা হয়েছে। প্রাপ্ত কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) দুপুর সোয়া ৩টার দিকে চালু হওয়া ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিটটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কয়লা খনি থেকে যে পরিমাণ কয়লা পাওয়া গিয়েছিল তার মজুদ শেষ হওয়ায় চালু হওয়া ইউনিটটি ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কয়লার প্রাপ্তি সাপেক্ষে আবারও কেন্দ্রের উৎপাদন শুরু করা হবে।’
এর আগে টানা ২৯ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২০ আগস্ট দুপুরে চালু করা হয়েছিল বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইউনিটের উৎপাদন। ঈদে অসহনীয় এই দুর্ভোগ থেকে কিছুটা রেহাই দিতে এবং ঘাটতি মোকাবিলায় তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন বন্ধ থাকলেও খনির অভ্যন্তরে টানেল নির্মাণ করতে প্রতিদিন যে সামান্য পরিমাণ কয়লা উত্তোলন হচ্ছে-তা মজুদ করেই ওই দিন কেন্দ্রটি চালু করা হয়।
সর্বমোট ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রাখতে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন ৫ হাজার ২’শ মেট্রিক টন। আর ১২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন যে ইউনিটটি চালু করা হয়েছিল সেটিতে দৈনিক প্রয়োজন ১২শ’ মে.টন কয়লা।
জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে গত জুন মাসের মাঝামাঝিতে ২০১০ নম্বর ফেসে কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় গত ১৯ জুন থেকে কয়লা খনিতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। নতুনভাবে ১৩১৪ নম্বর ফেসে উত্তোলনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন পুরনো ফেসের সরঞ্জাম নতুন ফেসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নতুন ফেস থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য খনি অভ্যন্তরে টানেল তৈরি করা হচ্ছে। সেই টানেল তৈরি করতে গিয়ে কিছু কয়লা পাওয়া যাচ্ছে, যা জমিয়ে রেখে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু করা হচ্ছে।
এর আগে, গত ২০ জুন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ পিডিবিকে নিশ্চিত করে খনির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৮০ হাজার টন কয়লা মজুদ রয়েছে। মজুদকৃত এই কয়লা দিয়ে আগস্ট মাস পর্যন্ত তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখা যাবে। কিন্তু জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে পিডিবিকে জানিয়ে দেয়, খনির কোল ইয়ার্ডে কয়লার মজুদ নেই। গত ২২ জুলাই কয়লার মজুদ শেষ হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন।
এদিকে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লা খনি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা কেলেঙ্কারীর ঘটনায় ইতোমধ্যেই সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলিত কয়লার মধ্যে এক লাখ ৪৪ হাজার টন কয়লা ঘাটতি/চুরি হওয়ায়, খনিটির নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা গত ১৯ জুলাই খনির এমডি প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহম্মেদকে প্রত্যাহার ও কোম্পানি সচিব মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানীয়াকে অন্যত্র বদলি করে। একইসঙ্গে খনির মহাব্যবস্থাপক মাইনিং এটিএম নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খালেদুর ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এই ঘটনায় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর গত ২৪ জুলাই খনির ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুদক।

/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
রাঙামাটির দুর্গম কেন্দ্রগুলোতে যাচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম
রাঙামাটির দুর্গম কেন্দ্রগুলোতে যাচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম
রাতের আঁধারে ২৪ লাখ টাকা ও ১১ সহযোগীসহ নির্বাচনের প্রার্থী আটক
রাতের আঁধারে ২৪ লাখ টাকা ও ১১ সহযোগীসহ নির্বাচনের প্রার্থী আটক
কাজাখস্তানের নারী দাবাড়ুকে  হারিয়ে প্রথম জয় ফাহাদের
কাজাখস্তানের নারী দাবাড়ুকে  হারিয়ে প্রথম জয় ফাহাদের
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র