চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের স্ত্রী রোকসানা হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ সোহেল (৩৫)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে নগরীর চরপাথরঘাটা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (১ মে) দুপুরে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম এই তথ্য জানিয়েছেন।
নগরীর কোতোয়ালী থানার সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি জানান, অভিযুক্ত সোহেল চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী গ্রামের রফিক সওদাগর বাড়ির জামাল উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তারা বাকলিয়া থানার নুরুল হক হাজী কলোনিতে থাকে। টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে সে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম আরও বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করি। এই এলাকায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করি। পরে চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে তাকে আমরা গ্রেফতার করি। গ্রেফতার সোহেল নিহত রোকসানার স্বামী আবুল কাশেমের সর্ম্পকে মামা হন।’
এ সর্ম্পকে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সোহেল আমার বোনের জামাইয়ের চাচাতো বোনের ছেলে। আমাদের সাথে তার তেমন কোনও যোগাযোগ ছিল না।’ সে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হাজী নুরুল হকের আপন বোনের ছেলে বলে তিনি জানান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেলের স্বীকারোক্তির বরাতে পুলিশ জানায়, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আবুল কাশেমের বাসায় যায় সোহেল। তার স্ত্রী রোকসানার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে সে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ছুরি বের করে ভয়ভীতি দেখায়। তাতেও টাকা দিতে রাজি না হলে রোকসানাকে ছুরিকাঘাত করে সে। এরপর রোকসানার মৃত্যু নিশ্চিত করে আলমারি থেকে বিভিন্ন স্বর্ণালংকার, তেলের ডিও, মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ নেয়। এসময় বাসায় কাজের বুয়া এলে তাকে চাকুর ভয় দেখিয়ে বাথরুমে রাখে। পরে হত্যাকাণ্ডের আলামত নষ্ট করতে রুমে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় রোকসানার ছোট ছেলে আব্দুল আজিজ বাসায় প্রবেশ করলে তার পেটেও ছুরিকাঘাত করে সে।
মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনার পর রাতে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত রোকসানার স্বামী ব্যবসায়ী আবুল কাশেম।