মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দিঘলীয়া ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা জান্নাত আক্তার পরিচয়ে পাসপোর্ট করতে এসে এক রোহিঙ্গা নারী আটক হয়েছেন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে তিনি আটক হন। পরে তাকে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ওই রোহিঙ্গা নারীর পাসপোর্ট ফরমে সত্যয়নকারী মানিকগঞ্জের আইনজীবী মো. মনোয়ার হোসাইনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাকসুদুর রহমান জানান, বেলা বারোটার দিকে ওই রোহিঙ্গা নারী সাটুরিয়ার জনৈক রেজাউল করিম নামের এক ব্যক্তির স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট করতে আসেন। ওই নারী দাবি করেন তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ২নং দিঘলীয়া ইউনিয়নের বেংরোয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে জান্নাত আক্তার। একটি নাগরিকত্ব সনদ দাখিল করে তিনি পাসপোর্ট করতে চান।
এসময় ওই নারীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিবন্ধিত সার্ভার ঘেটে দেখা হয়। তখন জানা যায় তিনি প্রকৃতপক্ষে রোহিঙ্গা নারী। তার নাম আসমা। বাবা সিরাজুল হক। রোহিঙ্গা নিবন্ধিত নম্বর ১৪৩২০১৭১২১৩১৫৪৪১৫। তার জন্ম তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০০১। আসমা ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিবন্ধিত হন। পরে তাকে সদর থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।
এদিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, ওই রোহিঙ্গা নারী দুই সপ্তাহ আগে চট্টগ্রাম থেকে রেজাউল করীমের সাভারের বাসায় আসেন। ওই নারীকে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্তকারী মানিকগঞ্জের আইনজীবী মো. মনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।