জাল দলিল করে সংখ্যালঘুর জমি দখলের মামলায় সিংগাইরের সায়েস্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ইউপি) মোসলেম উদ্দিন চোকদার এবং মেম্বার সদস্য ফজলুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জীবীত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে ভুয়া ওয়ারিশান সনদ দিয়ে জাল দলিল করে জমি দখলের অভিযোগে আড়াই বছর আগে মামলাটি করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১১ মে মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা করেন অদিতি রায়। মামলায় আসামি করা হয়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন চোকদার,চেয়ারম্যানের ছেলে তুহিন চোকদার, ইউপি সদস্য মনছের আলী, আব্দুল মান্নান,ফজলুল হক শামীম, ধামরাই সুয়াপুরের আব্দুল খালেক, মোসলেমাবাদের নাজমুল, দক্ষিণ চারিগ্রামের দুলাল হোসেন এবং সাহরাইলের গোপাল সাহার বিরুদ্ধে। এছাড়া সিংগাইর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার মোস্তাফিজ আহমেদকেও আসামি করা হয়েছিল জাল দলিল করার অভিযোগে। এরপর মামলাটি প্রথমে থানায় এবং পরে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডি তদন্ত করেন অভিযোগের সত্যতা পায় এবং পরে আসামিদের গ্রেফতার করে।
মামলার বাদীর অভিযোগ, তার বাবা অমিত কুমার রায় জীবিত আছেন। সিংগাইরের সায়েস্তা ইউনিয়ন পরিষদের পাশে তার বাবার নামে ১২ শতাংশ জমি রয়েছে। ওই জমির মধ্যে ৬ শতাংশ জমি সায়েস্তা ইউনিয়ন পরিষদ দখল করে রেখেছে। বাকি ৬ শতাংশ জমি ১৯৯৮ সালে সমশরে নামে এক ব্যক্তি কাছে ভাড়া দিয়েছেন। ওই জমির ওপর ইউপি চেয়ারম্যানের নজর পড়ে। চেয়ারম্যান তার বাবাকে মৃত দেখিয়ে অজ্ঞাত অজিত নাথ রায় নামে একজনকে তার ভাই বানিয়ে ওয়ারিশান সনদ দেয়। এরপর অজিত নাথকে দাতা সাজিয়ে সিংগাইর সাবরেজিস্ট্রার অফিসে চেয়ারম্যান তার ছেলে তুহিন ও মেম্বার আব্দুল মান্নান, ফজলুল হক উক্ত জমি সাফ কবালা দলিল করে নাম জারি ও জমা ভাগ করেন নেন। পরে ভাড়াটিয়া মুদি দোকানদার সমসের আলীকে উচ্ছেদ করে সম্পত্তি জবর দখল করে। অজিত নাথ নামে যাকে ভুয়া দাতা বানানো হয়েছে তার ভোটার আইডি কার্ড ছাড়াই সাব-রেজিস্ট্রার তাড়াহুড়া করে তাদের নামে দলিল সম্পাদন করে দেন।