চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আয়োজিত শেখ হাসিনার জনসভায় গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার মামলায় ৪ আসামির জামিন বাতিল করেছেন আদালত। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন জামিন বাতিল করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। আগামীকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনবেন আদালত। এর আগে ১৪ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। সেদিন আদালতে এই মামলার ৫৩ তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন আইনজীবী শম্ভুনাথ নন্দী।
মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় গুলি করে ২৪জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মমলায় আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি। আদালত সোমবার আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেছেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এই মামলার চার আসামি উপস্থিত থেকে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
আসামিরা হলো- মোস্তাফিজুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, শাহ মো. আবদুল্লাহ ও মমতাজ উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভা ছিল। ওই দিন দুপুর ১টার দিকে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রাকটি আদালত ভবনের দিকে আসার সময় গুলিবর্ষণ শুরু হয়। পুলিশের গুলিতে ওইদিন ২৪জন মারা যান। ঘটনার ৪ বছর পর ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি প্রথম দফায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর অধিকতর তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে আট পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে তিন জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। আরেকজন পলাতক রয়েছেন। বাকি চার জন আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।