X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুল যেতে পার হতে হয় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৪৩আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৫৮

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুল যাচ্ছে শিশুরা

জয়পুরহাট সদর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নদী পার হয়েই স্কুল। সেই স্কুলেই পড়তে আসে জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাইকপাড়া, গোবিন্দপুর, গঙ্গাদাসপুর ও কড়ই মালোপাড়ার শিশু শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন নদী পেরিয়ে আসতে হয় তাদের। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে স্কুলে যাতায়াত করলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। পারাপারের জন্য স্থানীয়রা সেখানে বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছে সাঁকো। আর সেই সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। খরার সময় বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করা গেলেও বর্ষায় ঝুঁকি বেশি থাকায় স্কুলে যায় না  শিক্ষার্থীরা।

মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৭০ সালে। তুলশীগঙ্গা নদীর কোল ঘেঁষে পূর্ব তীরে অবস্থান স্কুলটির। স্কুলের উভয় পাশের ৮ গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক শিশু পড়তে আসে এলাকার একমাত্র স্কুলটিতে। আমদই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহানুর আলম বলেন, খরার সময় বাঁশের সাঁকো দিয়ে কোনও রকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় প্রায় ৭ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। তাই এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা খুবই জরুরি।

পুরানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সৈকত জানান, স্বাধীনতার পর এসব গ্রামে জনবসতি গড়ে ওঠে। সেই থেকে তারা নিজ উদ্যোগে নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়ায় করছে। গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীরাও কষ্ট করে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে।

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুল যাচ্ছে শিশুরা

মুরারীপুর গ্রামের গৃহবধু স্বপ্না বেগম ও কোহিনুর বেগম জানান, বর্ষায় তাদের ছেলে-মেয়েরা নদী পার হয়ে স্কুলে আসতে পারে না। অনেক সময় নদীতে পরেও যায়। ফেরদৌস ও রায়হান নামের দুই অভিভাবক বলেন, সেতুর জন্য বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। স্থানীয় সংসদ সদস্যকেও জানানো হয়েছে। উনি দেখতে আসবেন বলে জানিয়েও আর আসেননি।

মুরারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরভী আক্তার বলে, বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে আসতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। পা পিছলে পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। চতুর্থ শ্রেণির ফারজানা ও পঞ্চম শ্রেণির শফিকুল ইসলাম জানায়, সাঁকো পার হতে তাদের ভয় লাগে। বর্ষার সময় তারা স্কুলেই আসে না।

জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, সেতু নির্মাণের বিষয়টি উর্দ্ধতন মহলে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সেতুটি নির্মাণের ব্যবস্থা হবে।

/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!